কোহলির সেঞ্চুরির পর রাসেল সাইক্লোন

কলকাতার ইডেন গার্ডেনসে মাত্র ২৫ বলে ৬৫ রানের স্লাইকোন বইয়ে দিয়েও দলকে জেতাতে পারেননি রাসেল। স্বাগতিক দলটিকে ১০ রানে হারানোর পথে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু অধিনায়ক বিরাট কোহলির সেঞ্চুরি।

চলতি মৌসুমে প্রথম এবং ২০১৬ সালের পর সেঞ্চুরির দেখা পেয়ে নিজ দলের সংগ্রহটাকে ২১৩ রানে নিয়ে যান কোহলি। যা তাড়া করতে নেমে নিতীশ রানার ৪৬ বলে ৮৫ এবং আন্দ্রে রাসেলের ২৫ বলে ৬৫ রানের ইনিংসের পরেও ২০৩ রানের বেশি করতে পারেনি কলকাতা। তাদেরকে ১০ রানে হারিয়ে চলতি আসরে নিজেদের দ্বিতীয় জয়ের দেখা পেয়েছে ব্যাঙ্গালুরু।

২১৪ রানের বিশাল লক্ষ্যে রাসেল যখন ব্যাট করতে নামেন যখন ওভারপ্রতি প্রায় ১৭ রান করে ৪৯ বলে ১৩৫ রানের প্রয়োজন কলকাতার। আপাতদৃষ্টিতে এটি বেশ কঠিন হলেও অসম্ভব নয়। এই কঠিন কাজটি করতে নেমে রাসেল খেলেন ২ চার ও ৯ ছয়ের মারে ২৫ বলে ৬৫ রানের ইনিংস। যোগ্য সঙ্গ দেন নিতীশ রানা। বাকি ২৪ বলে ৫৪ রান করেন তিনিও।

তবু জয়ের জন্য তা যথেষ্ঠ প্রমাণিত হয়নি। রানা ও রাসেল মাত্র ৪৮ বলে গড়েন ১১৮ রানের জুটি। এর আগে ক্রিস লিন (২ বলে ১), সুনিল নারিন (১৬ বলে ১৮), শুভমান গিল (১১ বলে ৯) এবং রবিন উথাপ্পা (২০ বলে ৯) লিখেছেন ব্যর্থতার গল্প। যে কারণে শেষমেশ ঘরের মাঠে জিততে পারেনি কলকাতা।

এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা তেমন ভালো ছিল না ব্যাঙ্গালুরুর। কোহলির সঙ্গে ওপেনিংয়ে নেমে ২০ বলে ১৮ রানের জুটি গড়ে সাজঘরে ফেলেন পার্থিব প্যাটেল (১১ বলে ১১)। ১৫ বলে ১৩ রান করে আউট হয়ে যান অক্ষদ্বীপ নাথও।

তবে তৃতীয় উইকেটে দলকে দারুণভাবে এগিয়ে নেন কোহলি আর মঈন আলি। ৯০ রানের জুটির পথে মঈন তো রীতিমত তাণ্ডব দেখান। ২৮ বলেই তিনি করে ফেলেন ৬৬ রান, যে ইনিংসে চারের চেয়ে (৫টি) ছক্কা ছিল বেশি (৬টি)।

মঈন ফেরার পর বাকি দায়িত্বটুকু পালন করেছেন কোহলি। ইনিংসের শেষ ওভারে এসে ব্যাঙ্গালুরু অধিনায়ক তুলে নেন সেঞ্চুরিও, ৫৭ বলে। ইনিংসের তখন মাত্র ১ বল বাকি।

শেষ বলেই কোহলি আউট হন, কাটায় কাটায় ১০০ রানে। ৫৮ বলের ইনিংসে ছিল ৯টি চার আর ৪টি ছক্কার মার। ৮ বলে ১৭ রানে অপরাজিত ছিলেন মার্কাস স্টয়নিস।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *