৩০ লাখ টনের নিচে নামল পাম অয়েল রফতানি
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইন্দোনেশিয়ার পাম অয়েল রফতানি খাতে বড় ধরনের পতন দেখা গেছে। এ সময় দেশটি থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যটির রফতানি আগের মাসের তুলনায় কমে ৩০ লাখ টনের নিচে নেমে এসেছে। কমেছে পাম অয়েলের সমাপনী মজুদও।
তবে রফতানি ও সমাপনী মজুদ কমলেও গত ফেব্রুয়ারিতে ইন্দোনেশিয়ায় পাম অয়েল উৎপাদনে বড় ধরনের প্রবৃদ্ধির দেখা মিলেছে। ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম রয়টার্সের এক জরিপভিত্তিক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পাম অয়েল উৎপাদক ও রফতানিকারক দেশগুলোর তালিকায় ইন্দোনেশিয়ার অবস্থান বিশ্বে প্রথম। রয়টার্সের প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে ইন্দোনেশিয়ায় সব মিলিয়ে ৩৬ লাখ টন অপরিশোধিত পাম অয়েল উৎপাদন হয়েছিল। সর্বশেষ ফেব্রুয়ারিতে দেশটিতে পাম অয়েলের উৎপাদন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৮ লাখ টনে। সে হিসাবে, এক মাসের ব্যবধানে দেশটিতে পাম অয়েল উৎপাদন বেড়েছে দুই লাখ টন।
উৎপাদন খাতে চাঙ্গাভাব বজায় থাকলেও গত ফেব্রুয়ারিতে ইন্দোনেশিয়া থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলটির রফতানিতে বড় ধরনের মন্দাভাব দেখা গেছে। রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে ইন্দোনেশিয়া থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে সব মিলিয়ে ৩০ লাখ ৫০ হাজার টন পাম অয়েল রফতানি হয়েছিল। এক মাসের ব্যবধানে ফেব্রুয়ারিতে এসে দেশটি থেকে পাম অয়েল রফতানি কমে দাঁড়িয়েছে ২৮ লাখ ৮০ হাজার টনে। সে হিসাবে, মাসের ব্যবধানে ইন্দোনেশিয়া থেকে পাম অয়েলের রফতানি কমেছে ১ লাখ ৭০ হাজার টন।
এদিকে চলতি বছরের জানুয়ারিতে ইন্দোনেশিয়ায় পাম অয়েলের সমাপনী মজুদ দাঁড়িয়েছিল ২৮ লাখ ৫০ হাজার টন। ফেব্রুয়ারি শেষে দেশটিতে পাম অয়েলের সমাপনী মজুদ নেমে এসেছে ২৭ লাখ ৩০ হাজার টনে। সে হিসাবে, এক মাসের ব্যবধানে ইন্দোনেশিয়ায় পাম অয়েলের সমাপনী মজুদ ১ লাখ ২০ হাজার টন কমেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।