শিল্পায়নকে এগিয়ে নিতে বহুমুখী উদ্যোগ নিয়েছে সরকার
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর অর্থনৈতিক দর্শনের আলোকে সরকার দেশে শিল্পায়নের ধারাকে এগিয়ে নিতে বহুমুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
রোববার ৩১ মার্চ ‘জাতীয় শিল্পমেলা ২০১৯’ উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।
শিল্প মন্ত্রণালয় প্রথমবারের মতো ‘জাতীয় শিল্পমেলা ২০১৯’ আয়োজন করছে জেনে রাষ্ট্রপতি সন্তোষ প্রকাশ করেন। এ সৃজনশীল উদ্যোগের সঙ্গে সম্পৃক্ত সবাইকে তিনি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
রাষ্ট্রপতি বলেন, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য টেকসই ও পরিবেশবান্ধব শিল্পখাত খুবই জরুরি। শিল্পোন্নত দেশগুলো গুণগত শিল্পায়নের ধারা জোরদার করে ইতোমধ্যে আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে পৌঁছে যেতে সক্ষম হয়েছে। বাংলাদেশকেও রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ অর্জনের মাধ্যমে উন্নত অর্থনীতিতে উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য নিজস্ব কাঁচামাল ব্যবহার করে শিল্পকারখানা গড়ে তুলতে হবে।
তিনি বলেন, বিশেষ করে নিজস্ব মেধা ও সৃজনশীল উদ্ভাবন কাজে লাগিয়ে আমদানি বিকল্প পণ্যের উৎপাদন বাড়াতে হবে। পাশাপাশি রফতানি পণ্য বহুমুখীকরণ, উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি ও উৎপাদিত পণ্যে মূল্য সংযোজনের প্রয়াস জোরদার করে বিশ্ববাজারের প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার যোগ্যতা অর্জন করতে হবে।
আবদুল হামিদ বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তৃণমূল পর্যায়ে শিল্পায়নের ওপর গুরুত্ব দিয়েছিলেন। তিনি দেশীয় কাঁচামালনির্ভর শিল্পকারখানা গড়ে তোলার মাধ্যমে শিল্পখাতে সমৃদ্ধি অর্জনের প্রচেষ্টা জোরদার করেছিলেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তার শাহদাতবরণের পর বাঙালি জাতির অর্থনৈতিক মুক্তির কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন স্থবির হয়ে পড়েছিল। শিল্পকারখানায় আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির প্রয়োগ বাড়ানো হয়েছে।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, জাতীয় শিল্পমেলা বাংলাদেশের শিল্পায়ন অভিযাত্রাকে বেগবান করতে সক্ষম হবে। মেলায় অংশগ্রহণকারী উদ্যোক্তারা আগামী দিনে নিজেদের পণ্য ও সেবা স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রচার, প্রসার এবং বাজার সম্প্রসারণে উৎসাহিত হবেন।
বাংলাদেশের শিল্পখাতে ইতোমধ্যে যে গুণগত পরিবর্তন এসেছে, এ আয়োজন দেশি-বিদেশি দর্শনার্থীদের কাছে তা তুলে ধরতে কার্যকর ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।