ভারতে সর্বোচ্চে চালের রফতানি মূল্য
এশিয়ার দেশগুলোয় চালের দামে মিশ্র প্রবণতা বজায় রয়েছে। ভারতের বাজারে খাদ্যপণ্যটির রফতানি মূল্য বাড়তে বাড়তে সর্বশেষ সপ্তাহে এসে টনপ্রতি ৬ ডলার বেড়ে সাত মাসের সর্বোচ্চ অবস্থানে পৌঁছে গেছে।
এ সময় থাইল্যান্ডের বাজারেও চালের দামে চাঙ্গাভাব বজায় ছিল। তবে ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে ভিয়েতনামে। সর্বশেষ সপ্তাহে দেশটিতে খাদ্যপণ্যটির দামে স্থিতিশীল অবস্থা বজায় ছিল। খবর বিজনেস রেকর্ডার ও সিনহুয়া।
ভারত বিশ্বের শীর্ষ চাল রফতানিকারক দেশ। কয়েক সপ্তাহ ধরেই দেশটির বাজারে খাদ্যপণ্যটির দাম বাড়তির দিকে ছিল। এ ধারাবাহিকতা বজায় ছিল সর্বশেষ সপ্তাহেও। এ সময় দেশটির বাজারে রফতানিযোগ্য ৫ শতাংশ ভাঙা চালের দাম দাঁড়িয়েছে টনপ্রতি ৩৯২-৩৯৫ ডলারে।
আগের সপ্তাহেও খাদ্যপণ্যটি টনপ্রতি ৩৮৬-৩৮৯ ডলারে বিক্রি হয়েছিল। সে হিসাবে, এক সপ্তাহের ব্যবধানে ভারতে চালের রফতানি মূল্য টনে ৬ ডলার বেড়েছে। বিগত সাত মাসের মধ্যে এটাই ভারতের বাজারে চালের সর্বোচ্চ দাম।
মুদ্রাবাজারে ভারতীয় রুপির মান আগের তুলনায় বাড়তে শুরু করেছে। মার্কিন ডলারের বিপরীতে রুপির এ চাঙ্গাভাব ভারতে চালের বাজারে দাম বাড়াতে প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছে বলে মনে করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা।
এদিকে বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ চাল রফতানিকারক দেশ থাইল্যান্ডেও খাদ্যপণ্যটির দাম বাড়তির দিকে ছিল। সর্বশেষ সপ্তাহে দেশটিতে ফ্রি অন বোর্ড (এফওবি) চুক্তিতে প্রতি টন ৫ শতাংশ ভাঙা চালের দাম দাঁড়িয়েছে ৩৯০-৩৯৩ ডলারে, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় সর্বোচ্চ ১০ ডলার বেশি।
আগের সপ্তাহে থাইল্যান্ডের বাজারে প্রতি টন চালের রফতানি মূল্য ছিল মানভেদে ৩৮০-৩৮৫ ডলার। চাহিদা তুলনামূলক বেড়ে যাওয়া দেশটিতে চালের দামও বেড়েছে।
সর্বশেষ সপ্তাহে ভিয়েতনামে রফতানিযোগ্য প্রতি টন ৫ শতাংশ ভাঙা চালের দাম আগের সপ্তাহের মতো ৩৬০ ডলারে অপরিবর্তিত রয়েছে। বিশ্বের তৃতীয় শীর্ষ চাল রফতানিকারক দেশ ভিয়েতনাম থেকে মালয়েশিয়ার আমদানিকারকদের খাদ্যপণ্যটির আমদানির কথা রয়েছে। এ চালানের পর দেশটিতে চালের দাম বেড়ে যেতে পারে।