যে কারণে গণভবনে যাননি লামইয়া তানজিন তানহা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের স্নাতক প্রথম বর্ষের ছাত্রী লামইয়া তানজিন তানহা। সদ্য অনুষ্ঠিত ডাকসু নির্বাচনে সুফিয়া কামাল হল সংসদে তিনি প্রগতিশীল ছাত্রঐক্যের প্যানেল থেকে সদস্য পদে প্রার্থী হয়েছিলেন।

ঘোষিত ফলাফলে ৮৪১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হলেও এর আগেই নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি। নির্বাচিত হওয়ার পরও হল সংসদের দায়িত্ব গ্রহণ থেকে বিরত থাকবেন বলে জানিয়েছেন। সর্বশেষ শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডাকসু ও হল সংসদে নির্বাচিতদের গণভবনে আমন্ত্রণ জানালেও সেখানে যাননি তানজিন তানহা।

বিষয়টি নিয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, আমরা ১১ মার্চ ভোট বর্জন করেছিলাম, কেননা নির্বাচনে ব্যাপকভাবে অনিয়ম ও কারচুপি হয়েছিল। ভোটাররা ভোট দিতে পারেননি, কৃত্রিম লাইন তৈরি করা হয়েছিল, রোকেয়া হল ও কুয়েত- মৈত্রী হলের ঘটনা তো সবারই জানা। সুফিয়া কামাল হলে হয়তো কোনো অনিয়ম হয়নি, কিন্তু সামগ্রিকভাবে অন্য হলগুলোতে ব্যাপকভাবে অনিয়মের ঘটনা ঘটেছে।

এখন নুরু ভাই (নুরুল হক নুর, ডাকসুর ভিপি) কিছু কিছু জায়গায় অনিয়মের কথা বলছেন। আমি মনে করি, নির্বাচনে যদি একজন শিক্ষার্থীর ভোটাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটে, তবে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ। এর প্রতিবাদেই আমি নির্বাচন থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছিলাম। একইভাবে প্রতিবাদের ভাষা হিসেবেই আমি গণভবনে যাইনি।

এর মধ্য দিয়ে ভোটারদের রায়ের প্রতি কোনো অসম্মান করা হলো কিনা-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যারা আমাকে নির্বাচিত করেছেন, তারা তো তাদের অধিকার নিয়ে কথা বলতেই আমাকে নির্বাচিত করেছেন। আমি তাদের ভোটের প্রতি সম্মান দেখিয়েই নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। একইভাবে গণভবনেও যাইনি। আমি মনে করি এটাই তাদের অধিকার নিয়ে কথা বলার মতো। আগেও আমি তাদের সঙ্গে ছিলাম, ভবিষ্যতেও থাকব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *