দুই হাজার কোটি টাকা হারালো ডিএসই

গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তিন কার্যদিবস দেশের শেয়ারবাজার ঊর্ধ্বমুখী থাকলেও প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সবকটি মূল্যসূচকের পতন হয়। এতে বাজারটি দুই হাজার কোটি টাকার ওপরে মূলধন হারিয়েছে।

আর সপ্তাহজুড়ে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স কমেছে প্রায় হাফ শতাংশ। গড় লেনদেন কমেছে ১৮ শতাংশের ওপরে। সেই সঙ্গে লেনদেনে অংশ নেয়া ৬৬ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে।

এতে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ১৩ হাজার ২২ কোটি টাকা, যা তার আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৪ লাখ ১৫ হাজার ৭৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে ২ হাজার ৫১ কোটি টাকা।

এদিকে গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২৫ পয়েন্ট দশমিক ৪৫ বা দশমিক ৪৫ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি কমে ৩৪ পয়েন্ট বা দশমিক ৫৯ শতাংশ।

অপর দুটি মূল্যসূচকের মধ্যে গত সপ্তাহে ডিএসই-৩০ আগের সপ্তাহের তুলনায় কমেছে ৫ দশমিক ৫২ পয়েন্ট বা দশমিক ২৮ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি কমে ৩ দশমিক ৫৩ পয়েন্ট বা দশমিক ১৮ শতাংশ।

আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক কমেছে ১০ দশমিক ৯৬ পয়েন্ট বা দশমিক ৮৩ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি বাড়ে ১ দশমিক ৭৩ পয়েন্ট বা দশমিক ১৩ শতাংশ।

গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৪৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে ৯৩টির দাম আগের সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে। অপরদিকে দাম কমেছে ২৩০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৬টির দাম।

এদিকে সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৫৯৫ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৭২৮ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন কমেছে ১৩২ কোটি ৩৭ লাখ টাকা বা ১৮ দশমিক ১৭ শতাংশ।

 

সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে মুন্নু সিরামিকের শেয়ার। কোম্পানিটির ২৩৯ কোটি ৭৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা সপ্তাহজুড়ে হওয়া মোট লেনদেনের ৮ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ।

দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশনের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৪২ কোটি ৬৩ লাখ টাকা, যা সপ্তাহের মোট লেনদেনের ৪ দশমিক ৭৯ শতাংশ। ১২০ কোটি ১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে প্রাইম ব্যাংক।

লেনদেনে এরপর রয়েছে- বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবলস, সিঙ্গার বাংলাদেশ, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, ফরচুন সুজ, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, ন্যাশনাল পলিমার এবং ডাচ-বাংলা ব্যাংক।

গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয় ২ হাজার ৯৭৯ কোটি ৯২ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয় ২ হাজার ৯১৩ কোটি ৪২ লাখ টাকা। সে হিসাবে মোট লেনদেন বেড়েছে ৬৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা বা ২ দশমিক ২৪ শতাংশ। মোট লেনদেন বাড়ার কারণে আগের সপ্তাহে এক কার্যদিবস কম লেনদেন হয়।

গত সপ্তাহে মোট লেনদেনের ৯০ দশমিক ৫০ শতাংশই ছিল ‘এ’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের দখলে। এ ছাড়া বাকি ৭ দশমিক ৭১ শতাংশ ‘বি’ ক্যাটাগরিভুক্ত, ১ দশমিক ১৯ শতাংশ ‘এ’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের এবং দশমিক ৬১ শতাংশ ‘জেড’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *