বছরের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন লেনদেন ডিএসইতে

সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বড় দরপতন হয়েছে। সেই সঙ্গে ডিএসইতে ৩৬ কার্যদিবসের মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেন হয়েছে, যা চলতি বছরের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন লেনদেনও।

এদিন ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া ৭৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে কমেছে ২২৫টির। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৪১টির দাম।

বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমায় ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৩১ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৭১৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

অপর দুটি মূল্যসূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক আগের দিনের তুলনায় দশমিক ৩৩ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৩১২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় ৫ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৯৯৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

এমন পতনের দিনে টাকার অংকে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবলসের শেয়ার। আজ কোম্পানিটির মোট ৪৮ কোটি ৯০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা খুলনা পাওয়ার কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৪০ কোটি ৮২ লাখ টাকার। আর ২৮ কোটি ৯৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে মুন্নু সিরামিক।

লেনদেনে এরপর রয়েছে- ফরচুন সুজ, ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন, লিগাসি ফুটওয়্যার, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, ন্যাশনাল পলিমার এবং মুন্নু জুট স্টাফলার্স।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্যসূচক সিএসসিএক্স আজ ৪১ পয়েন্ট কমে ১০ হাজার ৬০১ পয়েন্টে অবস্থান করছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ১৫ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার। লেনদেন হওয়া ২৫৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের মধ্যে ৬২টির শেয়ারের দাম বেড়েছে। বিপরীতে কমেছে ১৬৯টির। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ২৫টির শেয়ারের দাম।

মূল্যসূচকের পতনের পাশাপাশি এদিন ডিএসইতে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৫৮০ কোটি ৭০ লাখ টাকার শেয়ার। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৬৮৪ কোটি ৪৮ লাখ টাকার শেয়ার। সে হিসেবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন কমেছে ১০৩ কোটি ৭৮ লাখ টাকা।

এদিন ডিএসইতে আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন কমার পাশাপাশি শেষ ৩৬ কার্যদিবসের মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেন হয়েছে। এর আগে চলতি বছরের প্রথম কার্যদিবস ১ জানুয়ারি বাজারটিতে ৫৩০ কোটি ১৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। এরপর রোববারের আগে পর্যন্ত চলতি বছরে আর ৬০০ কোটি টাকার নিচে লেনদেন হয়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *