জার্মানির উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর ঢাকা ত্যাগ
ছয়দিনের সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সকাল ৮টা ১০ মিনিটে জার্মানির উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছেন। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইটে তিনি জার্মানির উদ্দেশে রওনা হন।
টানা তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর এটি তার প্রথম বিদেশ সফর। দেশে ফেরার পথে তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর করবেন।
প্রধানমন্ত্রীর অফিসের একজন মুখপাত্র বলেন, দেশ দুটিতে ছয় দিনের সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জার্মানির মিউনিখে একটি আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগ দেবেন। এছাড়া তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে একটি প্রতিরক্ষা প্রদর্শনীতে যোগ দিবেন। তিনি মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির সঙ্গে একটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠকও করবেন।
সফরসূচি অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার সফর সঙ্গীদের নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে ঢাকা ত্যাগ করবেন। ১৪ ফেব্রুয়ারি দুই দিনব্যাপী মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন শুরু হবে।
মুখপাত্র বলেন, শেখ হাসিনা ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আবুধাবিতে সফর করবেন। সেখানে তিনি ১৪তম আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা প্রদর্শনী (আইডিইএক্স-২০১৯)-তে অংশ নিবেন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন।
মিউনিখে পৌঁছার কয়েক ঘণ্টা পর প্রধানমন্ত্রী হোটেল শেরাটনে প্রবাসী বাংলাদেশীদের দেয়া একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজক জার্মানির বাংলাদেশ মিশন। সফরকালে প্রধানমন্ত্রী এই হোটেলেই অবস্থান করবেন।
প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানটি মিউনিখ সময় দুপুর ১টা ১৫ মিনিটে মিউনিখ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবে। সেখানে তিনি বেশ কয়েকটি বৈঠক করবেন।
মিউনিখে প্রধানমন্ত্রী শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী প্রতিনিধি ও হেলথ ক্যাম্পেইনারদের সাথেও বৈঠক করবেন।
শেখ হাসিনা পরের দিন নিরাপত্তা সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বক্তৃতা করবেন এবং প্রতিরক্ষা সহযোগিতার ওপর আলোচনায় অংশ নেবেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিস অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ এবং ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (হু) আয়োজিত ‘হেলথ ইন ক্রাইসিস-হু কেয়ার্স’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে যোগ দেয়ার কথা রয়েছে।
আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী ‘ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যাজ এ সিকিউরিটি থ্রেট’ শীর্ষক একটি প্যানেল আলোচনায় যোগ দেবেন।
আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি সকালে প্রধানমন্ত্রী মিউনিক থেকে আবুধাবিতে পৌঁছাবেন এবং আবুধাবি ন্যাশনাল এক্সিবিশন সেন্টারে (এডিএনইসি) ইন্টারন্যাশনাল ডিফেন্স এক্সিবিশনের (আইডিইএক্স) উদ্বোধনী সেশনে যোগ দেবেন।
তিনি ২০১৭ সালের নোবেল বিজয়ী পরমাণু অস্ত্র ধ্বংস বিষয়ক আন্তর্জাতিক প্রচারণা সংস্থার নির্বাহী পরিচালক বিয়াট্রিস ফিন এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) শীর্ষ প্রসিকিউটর ড. ফাতৌ বেনসৌদার সঙ্গে বৈঠক করবেন।
বিকেলে প্রধানমন্ত্রী সিমেন্স এজি’র প্রেসিডেন্ট ও সিইও জোয়ে কায়িজার এবং ভারিদোসের সিইও হ্যান্স উল্ফগং কুঞ্জের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
তিনি ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরামের প্রেসিডেন্ট বোর্জ ব্রেন্ডি এবং জিগসাওয়ের সিইও জারেড কোহেনের যৌথভাবে আয়োজিত এক নৈশভোজ সভায় অংশ নেবেন।
এ সফরকালে প্রধানমন্ত্রী আবুধাবির ক্রাউন প্রিন্স শেখ মোহাম্মাদ বিন জায়েদ বিন সুলতান আল-নাহিয়ানের সঙ্গে বৈঠক এবং ইউএই’র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী এবং আমিরাত অব দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মাদ বিন রশিদ আল মাকতুম ও অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
শেখ হাসিনা আল বাহার প্যালেসে ইউএই’র প্রতিষ্ঠাতা ও প্রথম প্রেসিডেন্ট এবং আবুধাবির শাসক মরহুম শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ানের স্ত্রী শেখা ফাতিমা বিনতে মুবারক আল কেতবির সঙ্গে সাক্ষাত করবেন।
প্রধানমন্ত্রী সেন্ট রেগিস আবুধাবি হোটেলে অনুষ্ঠেয় প্রবাসী বাংলাদেশীদের এক অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।