দৈনিক ৭৫ হাজার ব্যারেল জ্বালানি রফতানি করবে ইয়েমেন
মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ ইয়েমেন। একসময় দেশটির অর্থনীতি ছিল বেশ সমৃদ্ধ। বর্তমানে গৃহযুদ্ধ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের হস্তক্ষেপে কার্যত বিভক্ত হয়ে রয়েছে জ্বালানি সম্পদে পরিপূর্ণ দেশটি।
যুদ্ধের ক্ষত কাটিয়ে উঠতে নতুন করে জ্বালানি বাণিজ্যের পরিধি বাড়ানোর পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সৌদি আরব সমর্থিত ইয়েমেন সরকার। এর অংশ হিসেবে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে থাকা কূপগুলো থেকে চলতি বছর অপরিশোধিত জ্বালানি তেল উত্তোলন আগের তুলনায় বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে আবেদরাব্বু
মানসুর আল-হাদি সরকার। একই সঙ্গে ২০১৯ সালে দেশটি থেকে প্রতিদিন গড়ে ৭৫ হাজার ব্যারেল জ্বালানি তেল রফতানির লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। খবর রয়টার্স।
মানসুর আল-হাদির নিয়োগ করা জ্বালানিমন্ত্রী আইস আব্দুল্লাহ আল-আউদ জানান, ২০১৯ সালে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে থাকা কূপগুলো থেকে প্রতিদিন গড়ে ১ লাখ ১০ হাজার ব্যারেল অপরিশোধিত জ্বালানি তেল উত্তোলন করা হবে। একই সময় রফতানি করা হবে দৈনিক গড়ে ৭৫ হাজার ব্যারেল জ্বালানি তেল।
এ লক্ষ্য পূরণে সৌদি আরবের সহায়তায় ইয়েমেনের মূল ভূখণ্ড থেকে আরব সাগরের উপকূল পর্যন্ত পাইপলাইন নির্মাণের পরিকল্পনাও রয়েছে। একই সঙ্গে সাগরসংলগ্ন চারটি ব্লক থেকেও জ্বালানি তেল উত্তোলনের উদ্যোগ নেয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। চলতি বছর দেশটিতে ৬৭ লাখ টন তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) উৎপাদনের পর তা রফতানি করা হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
যুদ্ধের কারণে ২০১৫ সালে ইয়েমেনের কূপগুলো থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল উত্তোলন বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে যুদ্ধকবলিত ইয়েমেনে সৌদি সমর্থিত হাদি সরকার দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দরনগরী এডেন ও আশপাশের তেল-গ্যাস কূপগুলোর নিয়ন্ত্রণ নেয়।
অন্যদিকে ইরান সমর্থিত হুথি গ্রুপ রাজধানী সানা ও পশ্চিম উপকূলের জ্বালানি টার্মিনাল রাস ইশশার নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছে। এর মধ্য দিয়ে দেশটির প্রশাসনিক কার্যক্রমের পাশাপাশি অর্থনীতিও কার্যত দুই ভাগে ভাগ হয়ে পড়েছে। এখন বিধ্বস্ত অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে জ্বালানি তেল রফতানির উদ্যোগ নিয়েছে হাদি সরকার।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে ইয়েমেন প্রতিদিন গড়ে ১ লাখ ২৭ হাজার ব্যারেল অপরিশোধিত জ্বালানি তেল উত্তোলন হলেও গত বছর এর পরিমাণ ৫০ হাজার ব্যারেলে নেমে এসেছে বলে জানিয়েছে মার্কিন এনার্জি ইনফরমেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (ইআইএ)।