পানাহারের যে কাজ গুলো সুন্নাত

খাওয়া-দাওয়া ও পানাহার আল্লাহর ইবাদাত। যদি তা তাঁর নামে শুরু করা হয়। যে পানাহার আল্লাহ ও রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিয়ম অনুযায়ী না হয়।

সে পানাহারে বরকত ও কল্যাণ থাকে না। পানাহারের সময় রয়েছে কিছু সুন্নাতি আমল। যা পালন করলে বরকত ও কল্যাণের দ্বার খুলে যায়। এ জরুরি বিষয়গুলো তুলে ধরা হলো-

০১. ‘বিসমিল্লাহ’র সহিত খাবার শুরু করা। (বুখারি)
০২. খাবার পূর্বে হাত-মুখমণ্ডল ধোয়া। (তিরমিজি, আবু দাউদ)
০৩. খাবার ভর্তি পত্র হতে নিজের সম্মুখভাগ হতে নেয়া। (বুখারি)
০৪. খাবার সময় পায়ের জুতা খুলে রাখা। (মেশকাত)

০৫. খাদ্যবস্তু নিচে পড়লে তা তুলে নিয়ে পরিষ্কার করে খাওয়া। (ইবনে মাজাহ)
০৬. আলাদা আলাদা না খেয়ে একসঙ্গে খাওয়া। (ইবনে মাজাহ)
০৭. খাবার শেষে খাদ্যপত্রের তলা চেটে খাওয়া। (তিরমিজি)
০৮. খাবার সময় অন্য কেউ উপস্থি হলে তাকেও খেতে ডাকা। (ইবনে মাজাহ)

০৯. খাদ্য ও পানীয়ের ওপর ঢাকনা ব্যবহার করা। (বুখারি, মুসলিম)
১০. মালিক কর্মচারী একসঙ্গে খাওয়া। (বুখারি)
১১. বেশি লোকের খাবারে ব্যাচ ব্যাচ করে খাওয়া। (বুখারি)
১৩. পানীয় পানে অল্প অল্প করে (অন্তত তিন ঢোকে ) পান করা। (বুখারি)

১৪. খাবার গ্রহণে ডান হাত ব্যবহার করা। (বুখারি, মুসলিম)
১৫. দুধ পান করার পর কুলি করা। (বুখারি)
১৬. পানীয় পান করার শুরুতে বিসমিল্লাহ, শেষে আলহামদুলিল্লাহ বলা। (তিরমিজি)
১৭. মজলিশে খাবার পরিবেশনের সময় ডান দিক থেকে পরিবেশন করা।  কোনো কারণে বাম দিক থেকে পরিবেশন করতে হলে, ডান দিকের ব্যক্তি থেকে অনুমতি নিয়ে পরিবেশন করা। (বুখারি)

১৮. খাবার পরিবেশনের সময় প্রবীণ ও পরহেজগার ব্যক্তি থেকে শুরু করা। (মুসলিম)
১৯. রাত্রে পানাহারের পাত্র আল্লাহর নামে ঢেকে রাখা এবং খালি পাত্র উপুড় করে রাখা। (বুখারি, শরহে সুন্নাহ)
২০. খাবার পর ভালো করে হাত পরিষ্কার করা। (তিরমিজি, আবু দাউদ)
২১. জমজমের পানি দাঁড়িয়ে পান করা। (বুখারি)

খাবারের  ক্ষেত্রে উপরোক্ত বিষয়াবলীর প্রতি খেয়াল রাখা এবং গুরুত্বারোপ করা একান্ত প্রয়োজন। এতে রয়েছে অধিক বরকত ও কল্যাণ। আল্লাহ তাআলা সমগ্র মুসলিম উম্মাহকে সুন্নাতের ওপর আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *