এমপি হলেন সুবর্ণা মুস্তাফা
গণভবনে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সভা শেষে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনে মনোনীত ৪১ জনের নামের তালিকা ঘোষণা করেন। এর মধ্যে রয়েছেন খ্যাতিমান অভিনেত্রী সুবর্ণা মুস্তাফাও।
এর আগে বিকাল সাড়ে ৪টা থেকে আওয়ামী লীগ সভাপতি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে দলটির সংসদীয় বোর্ড ও স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সভা শুরু হয়। সভায় দলটির সংসদীয় বোর্ড ও স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রখ্যাত অভিনেতা গোলাম মুস্তাফার মেয়ে সুবর্ণা মুস্তাফা ১৯৫৯ সালের ২ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগ থেকে ডিগ্রি লাভ করেন।
আসাদুজ্জামান নূর অভিনীত কালজয়ী চরিত্র বাকের ভাইয়ের নায়িকা মুনা চরিত্রে দেখা যায় সুবর্ণাকে। তিনি বাজিমাত করে দিয়েছিলেন। তারপর নিয়মিতভাবেই তাকে হুমায়ূনের নাটকে কাজ করতে দেখা যায়। তারমধ্যে দারুণ জনপ্রিয়তা পায় ‘আজ রবিবার’ নাটকটি।
১৯৯২ সালে মুক্তি পাওয়া হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত মুস্তাফিজুর রহমানের ‘শঙ্খনীল কারাগার’ ছবি দিয়েও দর্শকদের মনে দোলা দিয়েছিলেন তিনি। সেখানে আসাদুজ্জামান নূর ও ডলি জহুরের ছোট বোনের চরিত্রে অভিনয় করেন সুবর্ণা।
তবে চলচ্চিত্রে সুবর্ণার অভিষেক ঘটে ১৯৮০ সালে সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকী পরিচালিত ‘ঘুড্ডি’র মাধ্যমে। নাটকের পাশাপাশি চলচ্চিত্রে সাফল্য পেলেও তিনি নিয়মিত গড়পড়তা চলচ্চিত্রে অভিনয় করেননি। কিছু জীবন ঘনিষ্ঠ চলচ্চিত্রে তার উপস্থিতি দেখা গেছে। তিনি অভিনয় করেছেন। তবে মূলধারার কিছু সিনেমাতেও তার উপস্থিতি লক্ষ্যণীয়।
‘নয়নের আলো’ সিনেমাতে তার অভিনয় সব শ্রেণির দর্শককে নাড়া দিয়েছিল। ১৯৮৩ সালে ‘নতুন বউ’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে তিনি শ্রেষ্ঠ সহ-অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান।
তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে অভিনয়ের আঙিনায় মুগ্ধতা ছড়িয়ে যাচ্ছেন নন্দিত অভিনেত্রী সুবর্ণা মুস্তাফা। বাংলাদেশের নাট্যজগতে বিশেষ মর্যাদার স্থান অধিকার করে আছেন তিনি। আশির দশকে ছিলেন দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় টিভি অভিনেত্রী।
বিশেষ করে আফজাল হোসেন, হুমায়ুন ফরীদি ও আসাদুজ্জামান নূরের সাথে তার জুটি ব্যাপক দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছিলো আশি-নব্বই দশকে। সেইসাথে হুমায়ূন আহমেদের নাটক ও চলচ্চিত্রে দারুণ সব চরিত্রে কাজ করে সুবর্ণা পৌঁছে গিয়েছেন সব শ্রেণির মানুষের কাছে।