কয়লার ব্যবহার শূন্যে নামাবে জার্মানি

এরই মধ্যে নিজস্ব খনি থেকে কয়লা উত্তোলন শূন্যে নামিয়ে আনার ঘোষণা দিয়েছে জার্মানি। বিদায়ী বছরের শেষ দিকে এসে সর্বশেষ সক্রিয় খনি থেকে জ্বালানি পণ্যটির উত্তোলন কার্যক্রম বন্ধ করেছে দেশটি। তবে জার্মানিতে এখনো কয়লা ব্যবহার হচ্ছে।

বিশেষত আমদানি করা কয়লা দিয়ে দেশটিতে বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে। ২০৩৮ সাল নাগাদ বিদ্যুৎ উৎপাদনে কয়লার ব্যবহার শূন্যে নামিয়ে আনতে আগ্রহী দেশটি। এর মধ্য দিয়ে ২০৩৮ সাল নাগাদ কয়লামুক্ত দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে পারে জার্মানি। খবর বিজনেস রেকর্ডার ও রয়টার্স।

দেশটির সরকারি পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০১৮ সালে সর্বশেষ সক্রিয় দুটি কয়লা খনির উত্তোলন কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। পরিবেশবাদীদের দাবির মুখে দেশটিতে জ্বালানি পণ্যটির ব্যবহারও ধীরে ধীরে কমিয়ে আনা হচ্ছে।

এ ধারাবাহিকতায় ২০৩৮ সাল নাগাদ জার্মানিতে সক্রিয় সর্বশেষ কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বন্ধ করার পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। এর জের ধরে ওই বছরে জার্মানিতে জ্বালানি পণ্যটির সম্মিলিত ব্যবহার শূন্যে নেমে আসতে পারে।

কয়লার ব্যবহার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় খাতসংশ্লিষ্টরা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হন, সে কারণে দেশটিতে ছয় হাজার কোটি ইউরো বিনিয়োগ প্রয়োজন। তবে জার্মান সরকার এখন পর্যন্ত কয়লা খাতে চার হাজার কোটি ইউরো বিনিয়োগে নীতিগত সম্মতি দিয়েছে। পরবর্তী সময়ে ২০৪০ সাল পর্যন্ত ধাপে ধাপে জার্মান কয়লা খাতের পুনর্বাসন তহবিলে বিনিয়োগ বাড়ানো হবে।

এদিকে নিজস্ব খনি থেকে উত্তোলন শূন্যে নামিয়ে আনলেও কয়লা আমদানি বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে জার্মান সরকার। দেশটির তথ্য বিশ্লেষণী প্রতিষ্ঠান ভিডিকেআই গ্রুপের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০১৯ সালে জার্মানিতে সব মিলিয়ে ৪ কোটি ৫০ লাখ টন কয়লা আমদানি হতে পারে, যা আগের বছরের তুলনায় ১ দশমিক ৪ শতাংশ বেশি। এর মধ্যে আমদানি করা তিন কোটি টন কয়লা ব্যবহার করা হবে বিদ্যুৎ উৎপাদনে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *