৩৮১ রানে ইংল্যান্ডকে হারালো উইন্ডিজ
প্রথম ইনিংসে ভরাডুবিময় পারফরম্যান্সের পরই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল ব্রিজটাউন টেস্টে অন্তত জিততে পারবে না সফরকারী ইংল্যান্ড। দেখার ছিলো কত রানের ব্যবধানে জয় পায় স্বাগতিক উইন্ডিজ ক্রিকেট দল। সে জয়ের ব্যবধানটা শেষপর্যন্ত দাঁড়িয়েছে ৩৮১ রানে।
ম্যাচের তৃতীয় দিনে পুরো ওভার খেলা হলেও কোনো উইকেট না পড়ায় ইংলিশদের মনে আশা জেগেছিল পরের দুই দিন ব্যাটিং করে ম্যাচ বাঁচিয়ে ফেলার। কিন্তু চতুর্থ দিন তারা নাকাল হয়েছে অফস্পিনার রস্টন চেজের স্পিন বিষে। ৬২৮ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ইংল্যান্ড অলআউট হয়েছে ২৪৬ রানে, চেজ একাই নিয়েছেন ৮ উইকেট।
চেজের এমন বোলিংয়ের দিনে নিজেদের শেষ ৯ উইকেটে মাত্র ১১২ রান করতে পেরেছে ইংল্যান্ড। উদ্বোধনী জুটিতে ৮৫ রান যোগ করে ভালো কিছুরই ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন রোরি বার্নস এবং কিটন জেনিংস। বার্নস ৮৪ এবং জেনিংস করেন ১৪ রান। তিনে নেমে জেমি বেয়ারস্টোর ব্যাট থেকে আসে ৩০ রান।
এছাড়া অধিনায়ক জো রুট ২২, অলরাউন্ডার বেন স্টোকস ৩৪ এবং উইকেটরক্ষক জশ বাটলারের ২৬ রানব্যতীত আর কেউই তেমন কিছু করতে পারেননি। শেষপর্যন্ত ২৪৬ রানে থেমে যায় ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংস। ৩৮১ রানের বিশাল ব্যবধানে জয় পায় উইন্ডিজ।
এর আগে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ২৮৯ রানের সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছিল স্বাগতিকরা। জবাবে কেমার রোচের পেস তোপে পড়ে মাত্র ৭৭ রানেই অলআউট হয়ে যায় ইংল্যান্ড।
ফলোঅন করানোর সুযোগ থাকলেও আবার ব্যাটিংয়ে নামে উইন্ডিজ। জেসন হোল্ডারের ডাবল সেঞ্চুরি এবং শেন ডাওরিচের সেঞ্চুরিতে গড়া রেকর্ড পার্টনারশিপে ৬ উইকেট হারিয়ে ৪১৫ রান করে তারা। ইংল্যান্ডের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৬২৮ রানের।
এতোদিন ধরে টেস্ট ক্রিকেটে উইন্ডিজের পক্ষে এক ইনিংস ৮ বা ততোধিক উইকেট নেয়ার রেকর্ড ছিলো কেবল ৪ জনের। শনিবার সে রেকর্ডে জ্যাক নরেইগা (৯৫ রানে ৯ উইকেট), ল্যান্স গিবস (৩৪ রানে ৮ উইকেট), দেবেন্দ্র বিশু (৪৯ রানে ৮ উইকেট) এবং আলফ ভ্যালেন্টাইনের (১০৪ রানে ৮ উইকেট) পর নিজের নাম তুললেন চেজ (৬০ রানে ৮ উইকেট)।