যে কারণে ফিলিস্তিনিদের ত্রাণ দেয়া বন্ধ করল ডব্লিউএফপি

অধিকৃত গাজা উপত্যকা ও পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের ত্রাণ সহায়তা স্থগিত করেছে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)। জাতিসংঘের এই সংস্থা বলছে, আর্থিক সংকটের কারণে গাজা এবং পশ্চিম তীরের কিছু ফিলিস্তিনিকে দেয়া ত্রাণ সহায়তা স্থগিত এবং কিছু ক্ষেত্রে সহায়তার পরিমাণ কমাতে বাধ্য হয়েছে তারা।

ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে নিয়োজিত সংস্থাটির পরিচালক স্টিফেন কার্নি বলেছেন, গত ১ জানুয়ারি থেকে অধিকৃত পশ্চিম তীরের প্রায় ২৭ হাজার ফিলিস্তিনিকে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি আর ত্রাণ সহায়তা দিচ্ছে না। এছাড়া গাজার এক লাখ ১০ হাজারসহ অন্য এক লাখ ৬৫ হাজার ফিলিস্তিনি সচরাচর যে ত্রাণ সহায়তা পেতেন তা কমিয়ে আনা হয়েছে। এখন তারা ৮০ শতাংশ ত্রাণ পাচ্ছেন।

গত চার বছর ধরে অন্যতম দাতাগোষ্ঠী যুক্তরাষ্ট্র-সহ অন্যান্য দাতাদের সহায়তা ধারাবাহিকভাবে কমে আসায় ত্রাণ সহায়তা বন্ধ এবং হ্রাসের সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে বলে জানিয়েছে ডব্লিউএফপি। গত বছর গাজা উপত্যকায় প্রায় আড়াই লাখ ফিলিস্তিনিকে সহায়তা করেছে জাতিসংঘের এই কর্মসূচি। এছাড়া পশ্চিম তীরেও প্রায় এক লাখ ১০ হাজার মানুষকে সহায়তা দেয়া হয়।

পশ্চিম তীরের দক্ষিণাঞ্চলের হেবরণের কাছে ইয়াত্তা গ্রামের বাসিন্দা মাহা আল-নওয়াজাহ বলেন, তিনি অল্প প্রয়োজনীয় কিছু সামগ্রী কিনছেন। ডব্লিউএফপির একটি কার্ডের কথা উল্লেখ করে ৫২ বছর বয়সী এই নারী বলেন, ডব্লিউএফপি গত ডিসেম্বরে আমার কার্ড পুনর্নবায়ন করে দেয়নি। এই কার্ডের মাধ্যমে তিনি হেবরণের মুদি দোকান থেকে পরিবারের ১২ সদস্যের জন্য নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী কিনতে পারেন।

তিনি বলেন, পরিবারের সদস্যরা সবাই বেকার। আমার ছেলেরা ইসরায়েলে প্রবেশের অনুমতি পায়নি। তবে আমার স্বামী মাঝে মাঝে সেখানে যেতে পারে এবং সেই সময় কিবছু অর্থ উপার্জন করতে পারেন। পশ্চিম তীরে বর্তমানে বেকারত্বের হার প্রায় ১৮ শতাংশ।

কিছু কিছু ফিলিস্তিনি উচ্চ বেতনের আশায় ইসরায়েলে কাজ করতে চায়। কিন্তু এ জন্য ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের অনুমতির প্রয়োজন হয় এবং ইসরায়েল বেছে বেছে কিছু ফিলিস্তিনিকে এই সুবিধা দেয়।

সূত্র : আলজাজিরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *