পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপের আগে অনেক বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে : ট্রাম্প
ইউক্রেনে শান্তি চুক্তির জন্য ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে অনেক বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানোর কথা বলেছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সকালে পুতিনের সঙ্গে ফোনে কথা বলবেন তিনি। খবর বিবিসি।
ট্রাম্প জানান, এই ফোনালাপের আগেই অনেক বিষয়ে তারা একমত হয়েছেন, তবে অনেক কিছুই বাকি আছে। ট্রাম্প বলেন, প্রতি সপ্তাহে ২,৫০০ সৈন্যের মৃত্যু হচ্ছে উভয় পক্ষ থেকে। এটা এখনই শেষ হওয়া উচিত।
এদিকে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সোমবার রাতে তার ভাষণে পুতিনকে যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করার জন্য দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব অনেক আগেই বাস্তবায়ন হতে পারত। প্রতিদিনের যুদ্ধ মানে মানুষের প্রাণহানি।
ট্রাম্প প্রশাসনের মধ্যে শান্তিচুক্তি নিয়ে কিছু মতবিরোধ দেখা গেছে। ইউক্রেনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে জেদ্দায় আলোচনার পর আমেরিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেন, মূল আলোচনা ছিল একটি শান্তিচুক্তি প্রক্রিয়া কীভাবে চলবে সে বিষয়ে। কিন্তু নির্দিষ্ট শর্তাবলী নিয়ে আলোচনা হয়নি।
ইউক্রেনের সঙ্গে শান্তি চুক্তির প্রতি আগ্রহ দেখাতে পুতিনকে চাপ দিচ্ছে ব্রিটেন এবং ফ্রান্স। ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাখোঁ বলেন, প্রশ্ন হলো কত বেশি প্রাণহানি, কত বেশি ধ্বংস হলে সে শান্তি চুক্তিতে আসবে। ব্রিটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি বলেন, পুতিনকে এখনই পূর্ণ ও নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতি গ্রহণ করতে হবে।
এদিকে, হোয়াইট হাউস ট্রাম্প-পুতিন ফোনালাপ নিয়ে আশাবাদী। হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট বলেন, ইউক্রেনের শান্তি চুক্তি কখনোই এত কাছাকাছি ছিল না। তিনি জানান, ট্রাম্প শান্তি চুক্তি অর্জনে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
ক্যারোলিন লেভিট বলেন, ফোনালাপে জাপোরিজিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে আলোচনা হতে পারে, যা ২০২২ সালের মার্চ থেকে রাশিয়ার দখলে। সেখানকার যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে।
শান্তিচুক্তি নিয়ে আলোচনা চলতে থাকলেও রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে কিছু বিতর্কের বিষয় রয়েছে। রুশ কুরস্ক অঞ্চল নিয়ে সমস্যা বাড়ছে। সেখানে ইউক্রেন গত বছর সামরিক আক্রমণ করে কিছু এলাকা দখল করেছিল। এছাড়া পুতিন বলেছেন, ন্যাটো বাহিনীর কাছে এই অঞ্চলে কোনো ধরনের সৈন্য নিয়ন্ত্রণ তিনি মেনে নেবেন না।