ট্রাম্পকে নিয়ে অশালীন মন্তব্য করলেন যে মুসলিম নারী

মাসকয়েক আগে মার্কিন কংগ্রেসের হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে প্রথম মুসলিম নারী হিসেবে নির্বাচিত হয়ে খবরের শিরোনামে এসেছিলেন তিনি। ফিলিস্তিনীয় বংশোদ্ভূত রশিদা তালিব এবার খবর হলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অশালীন উক্তির অভিযোগে।

যদিও মিশিগান থেকে মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষে নির্বাচিত ডেমোক্র্যাট নেত্রী শনিবার ক্ষমা প্রার্থনার দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন। ‘আনঅ্যাপোলজিটিক্যালি-মি’ হ্যাশটাগে তার টুইট, ‘আমি সবসময় ক্ষমতাকে সত্যি কথাটা বলি।’

রিপাবলিকান নেতৃত্বের একাংশ ইতোমধ্যেই রশিদার বিরুদ্ধে বিষয়টি নিয়ে সরব হলেও স্বয়ং ট্রাম্প পাল্টা জবাব এড়িয়ে গিয়েছেন। তার মন্তব্য, ‘উনি কে, তা আমি জানি না। আশা করি উনি জানেন, আমি কে।’ পাশাপাশি হোয়াইট হাউসের বাসিন্দার দাবি, এমন মন্তব্য করে রশিদা নিজের পরিবার এবং নিজেকে অসম্মানিত করেছেন।

গত নভেম্বরে মধ্যবর্তী নির্বাচনে হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে ডেমোক্র্যাটরা। এই পরিস্থিতিতে বিরোধীদলের মধ্যে প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট (অভিশংসন) প্রস্তাব আনার পক্ষে ক্রমশ সুর চড়ছে। কট্টর ট্রাম্পবিরোধী হিসেবে পরিচিত রশিদা এ প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার অশালীন মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ।

ভোটে জেতার পরে নিজের ১৩ বছর বয়সী ছেলের সঙ্গে বাক্যালাপের প্রসঙ্গ তুলে রশিদা বলেন, ‘আমার ছেলে বলেছিল, মা তুমি জিতেছ। অত্যাচারীরা হেরেছে। আমি তখন বলেছিলাম, ওরা আর জিততে পারবে না। এবার আমরা…(অশ্লীল শব্দ) ইমপিচ করব।’

হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি অবশ্য এখনও সরাসরি ইমপিচমেন্ট প্রস্তাবের দাবি অনুমোদন করেননি। তবে বিষয়টি নাকচও করেননি ডেমোক্র্যাট নেত্রী ন্যান্সি। একটি মার্কিন সংবাদমাধ্যমের দাবি, ২০১৬-র প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ায় ভূমিকা তদন্তের দায়িত্বে থাকা রবার্ট মুলার কমিটির চূড়ান্ত রিপোর্ট দেখার পরেই ট্রাম্পের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার বিষয়টি নিয়ে এগোতে চান স্পিকার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *