নতুন উচ্চতায় মরক্কোর আতিথেয়তা শিল্প

স্টাফ রিপোর্টার

মরক্কোর রাজা চতুর্থ মোহাম্মদের নকশায় তৈরি, রাজকীয় ভাব যে ষোল আনা অটুট থাকবে তা না বললেও চলে। বিলাসী রিসোর্ট রয়্যাল মনসুর মারাকেশ চালু হয় ২০১০ সালে। মারাকেশ শহরের এ স্থাপনা সনাতনী ম্যানশনের ধাঁচে নির্মিত, যাতে রয়েছে খোলামেলা পরিসর, আবার অতিথিদের একান্তভাবে সময় কাটানোর মতো আয়োজন। রাজকীয় সুবিধাসংবলিত এ হোটেলে ঐতিহ্য ও আধুনিকতার মেলবন্ধন ঘটেছে। এখানে রয়েছে ছয় একরের একটি বাগান। রিসোর্টের নকশা এমনভাবে করা হয়েছে যাতে ‘শহরের ভেতর শহর’ এমন অনুভূতি তৈরি হয়। অতিথিদের গোপনীয়তা রক্ষা ও রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা দেবে এখানকার লুকানো সুড়ঙ্গ ও গোপন দরজা। উঁচু দরের সেবার জন্য সম্প্রতি দ্য ওয়ার্ল্ডস ফিফটি বেস্ট হোটেলস থেকে জিতে নিয়েছে আর্ট অব হসপিটালিটি অ্যাওয়ার্ড।

এ পুরস্কারের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে বিশ্বের নামি ৬০০ হোটেল বিশেষজ্ঞ। সেপ্টেম্বরের মূল পুরস্কারের আগেই আর্ট অব হসপিটালিটি বিভাগের ঘোষণা দেয়া হয়। এ প্রসঙ্গে ওয়ার্ল্ডস ফিফটি বেস্ট হোটেলসের হেড অব কনটেন্ট এমা স্লাইট বলেন, ‘প্রতিটি অতিথির জন্য নিজস্ব প্রাসাদ ও ব্যক্তিগত বাটলারের সুবিধা দেয় রয়্যাল মনসুর মারাকেশ। এটি আতিথেয়তা শিল্পের প্রতীক হয়ে উঠেছে।’ ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে ৬ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে আক্রান্ত হয় মরক্কোর বিস্তৃত অঞ্চল। এ সময় রয়্যাল মনসুর মারাকেশের কোনো ক্ষতি হয়নি, এ কারণে স্থাপত্য কৌশলেরও প্রশংসা করেন এমা স্লাইট। সাম্প্রতিক মরক্কোয় আতিথেয়তা শিল্প বেশ গুরুত্ব পাচ্ছে। বিশেষ করে দেশটির ঐতিহ্য ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য বিদেশীদের মনোযোগ ধরে রাখছে। গত এপ্রিলে এখানে চালু হয়েছে আইকনিক রয়্যাল মনসুর কাসাব্লাঙ্কা। প্রাসাদটি গত শতকের মাঝামাঝিতে তৈরি হয়। এরপর একাধিকবার হোটেল হিসেবে চালু থাকলেও সাম্প্রতিক কয়েক বছর অতিথিদের জন্য দরজা বন্ধই ছিল। এছাড়া বছরের শুরুতে খুলে দেয়া হয়েছে সৈকতমুখী রিসোর্ট রয়্যাল মনসুর তামুদা। খবর সিএনএন ও ছবি রয়্যাল মনসুর মারাকেশ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *