মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে ই-পাসপোর্টের পাশাপাশি এমআরপি পাসপোর্ট অব্যাহত রাখার দাবিতে বিক্ষোভ
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে ই-পাসপোর্টের পাশাপাশি এমআরপি পাসপোর্ট রাখার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে প্রবাসী বাংলাদেশীরা। তাদের দাবি ই-পাসপোর্ট চলবে, সেই সাথে এমআরপি পাসপোর্টও চালু রাখতে হবে।
ই-পাসপোর্ট করতে বাধ্যতামূলক জাতীয় পরিচয় পত্র (এনআইডি) লাগে। মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত অনেক বাংলাদেশীর এনআইডি নাই। তাই তারা ই-পাসপোর্ট করতে আপত্তি তোলেছে।
এদিকে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশন অফিসের পরিবর্তে ই-পাসপোর্ট করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে- Expat Services (Kuala lumpur) SDN BHD (ESKL) নামক প্রতিষ্ঠানকে।
ই-পাসপোর্ট, বিদেশীদের ভিসা প্রদান ও ট্রাভেল পাস হাইকমিশনের হাত থেকে ESKL এর হাতে চলে গেছে। এ ব্যাপারে মালয়েশিয়াস্থ হাইকমিশন অফিসের লেবার উইং ও লেবার উইং এর সকল অফিসার এবং পাসপোর্ট অফিসাররা এই চুক্তির বিরোধীতা করেন।তাদের বিরোধীতাকে গুরুত্ব না দিয়ে ডেপুটি হাইকমিশনার খোরশেদ আলম খাস্তগীর একক ক্ষমতাবলে আগে যেখানে জেনারেল ট্রাভেল পাস ৪৪ রিঙ্গিত ছিল এখন তা বাড়িয়ে ৬৯ রিঙ্গিত করেছে। আগের চেয়ে ২৫ রিঙ্গিত বেশি নেওয়ার মাধ্যমে ESKL এর পকেটে চলে যাচ্ছে কোটি কোটি টাকা।
মালয়েশিয়ায় ১৫ লাখ বাংলাদেশী শ্রমিক কাজ করছে।এর মধ্যে ১২ লাখ শ্রমিকের হাতে রয়েছে এমআরপি পাসপোর্ট্। ই-পাসপোর্টধারী রয়েছে মাত্র ৩ লাখ।এদিকে ই-পাসপোর্টের কাজও বেসরকারি সংস্থা ESKL কে দেওয়া হয়েছে।হাইকমিশন অফিস যে কাজ করার কথা সেই কাজ এখন করছে ESKL. ফলে হাইকমিশনের লোক বেকার বসে থাকছে।
ই-পাসপোর্টের নামে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পায়তারা করছে ESKL. যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। অন্যদিকে ই-পাসপোর্ট্ ইচ্ছা করলে এক মাস বা দুই মাসে দেওয়া সম্ভব নয়। ফলে প্রবাসী শ্রমিকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে রেমিটেন্স প্রবাহ হৃাস পাবে।
মালয়েশিয়ায় কর্মরত বাংলাদেশীদের দাবি- ই-পাসপোর্টের পাশাপাশি এমআরপি পাসপোর্ট চালু রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। ই-পাসপোর্টের পাশাপাশি এমআরপি পাসপোর্ট চালু রাখা হলে শ্রমিকের সমস্যা হবে না। ভিসা সংক্রান্ত জটিলতাও থাকবে না।
শুধু ই-পাসপোর্ট চালু রাখা হলে অনেক শ্রমিক বেকার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ভিসা সংক্রান্ত জটিলতায় পরতে হবে। অন্যথায় দেশে চলে আসতে হবে।
মালয়েশিয়ান হাইকমিশন অফিসের ডেপুটি হাইকমিশনার খোরশেদ আলম খাস্তগীর এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, নতুন কোনো কিছু হলে বিরোধীতা করার জন্য বিরোধীতা করা।ভালো-মন্দ না বুঝে বিরোধীতা করছে। ই-পাসপোর্ট হচ্ছে- ডিজিটাল পাসপোর্ট; এই পাসপোর্ট থাকলে সবকিছু হাতের মুঠায় চলে আসে।আবার সময়ও কম লাগে। যা এমআরপি পাসপোর্টের মাধ্যমে কোনোভাবেই সম্ভব না।