২৫ বছরের মধ্যে সর্বনিম্নে রাশিয়া-ইইউ বাণিজ্য

স্টাফ রিপোর্টার

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জের ধরে দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে মস্কোর বিরুদ্ধে ধারাবাহিক নিষেধাজ্ঞা দিয়ে যাচ্ছে পশ্চিমা দেশগুলো। এর বড় ধরনের প্রভাব পড়েছে রাশিয়া ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে। চলতি বছরের এপ্রিলের শেষ নাগাদ তা ২৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে নিচে নেমে গেছে। ইউরোস্ট্যাটের পরিসংখ্যানের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আরআইএ নোভোস্তি। খবর আরটি।

ইউরোস্ট্যাটের তথ্য বলছে, ইইউ ও রাশিয়ার আমদানি-রফতানির পরিমাণ ২০০০ সালের জানুয়ারির পর সর্বনিম্ন ৫৬০ কোটি ইউরোয় নেমে গেছে। শুধু এপ্রিলেই বাণিজ্যের আকার আগের মাসের তুলনায় ৬ শতাংশ কমেছে। একই মাসে ইইউভুক্ত দেশগুলোয় রাশিয়ার পণ্য রফতানি আগের মাসের তুলনায় ১৭ শতাংশ কমে ২৭০ কোটি ইউরোয় পৌঁছায়, যা ১৯৯৯ সালের জুনের পর সর্বনিম্ন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইইউতে প্রধানত প্রাকৃতিক গ্যাস বিক্রি করে রাশিয়া। এপ্রিলে জ্বালানি পণ্যটির রফতানি ৫ শতাংশ কমে ১১৫ কোটি ইউরোয় নেমে গেছে। প্রাকৃতিক গ্যাস ছাড়াও ওই অঞ্চলের দেশগুলোয় লোহা, ইস্পাত ও পেট্রোলিয়ামজাত পণ্য রফতানি করে দেশটি।

তবে রাশিয়ার রফতানি কমলেও একই সময়ে দেশটিতে ইইউর রফতানির পরিমাণ বেড়েছে। এপ্রিলে দেশটিতে ইইউর রফতানি আগের মাসের তুলনায় ৬ শতাংশ বেড়ে ২৯০ কোটি ইউরোয় পৌঁছেছে। সেখানে মূলত ফার্মাসিউটিক্যালস ও অন্য যন্ত্রাংশ রফতানি করে ইইউ।

সরকারি তথ্যানুসারে, ২০২০ সালেও ২৭ দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক জোট ইইউ ছিল রাশিয়ার সবচেয়ে বড় বাণিজ্য অংশীদার। ওই সময় দেশটির ৩৭ দশমিক ৩ শতাংশ আমদানি-রফতানি হতো এ অঞ্চলে। ইইউ থেকে আসত রাশিয়ার মোট আমদানি পণ্যের ৩৬ শতাংশই। অন্যদিকে রাশিয়ার মোট রফতানির ৩৭ দশমিক ৯ শতাংশ যেত ওই অঞ্চলে।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হয়। এর জের ধরে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে শুরু করে ইউক্রেনের মিত্র যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলো। দুই বছরের বেশি সময় ধরে রুশ সম্পদ জব্দ করা, দেশটির আর্থিক ও জ্বালানি খাত এবং বাণিজ্যের ওপর অব্যাহত নিষেধাজ্ঞা দিয়ে যাচ্ছে এসব দেশ। এছাড়া বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ নিয়েছে তারা। এসব কারণে উভয় পক্ষের বাণিজ্যিক সম্পর্কের চরম অবনতি হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *