চীনের গাড়ি নির্মাতা হিসেবে প্রথমবার শীর্ষ দশে গিলি

স্টাফ রিপোর্টার

চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) ঝেজিয়াং গিলি হোর্ডিং গ্রুপ বিশ্বব্যাপী ৭ লাখ ৩০ হাজার ইউনিট গাড়ি বিক্রি করেছে। এর মাধ্যমে চীনা গাড়ি নির্মাতা কোম্পানিটি প্রথমবার শীর্ষ দশে স্থান করে নিয়েছে। খবর নিক্কেই এশিয়া

বিশ্বব্যাপী গাড়ির বিক্রির পরিসংখ্যান থেকে সম্প্রতি এ তথ্য প্রকাশ করেছে জরিপ সংস্থা মার্কলাইনস।

গিলি গ্রুপ ২০২৩ সালের প্রথম প্রান্তিকে বৈশ্বিক গাড়ি বিক্রির তালিকায় ১২তম স্থানে ছিল। চলতি বছরে জার্মানির গাড়ি নির্মাতা মার্সিডিজ বেঞ্জ গ্রুপ ও বিএমডব্লিউকে অতিক্রম করে দশম স্থানে পৌঁছেছে। আগের বছরের তুলনায় চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির বিক্রি বেড়েছে ২৭ শতাংশ।

এছাড়া শীর্ষ ২০ গাড়ি নির্মাতার মধ্যে রয়েছে চীনের অটোমেকার বিওয়াইডি, চ্যাংগান অটোমোবাইল, চেরি অটোমোবাইল ও এসএআইসি।

সাধারণত বছরের প্রথম প্রান্তিকে চীনের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করে চন্দ্র নববর্ষ। এ সময় কেনাকাটার পরিমাণ বছরের অন্য যেকোনো সময়ের তুলনায় বেড়ে যায়। কেনাকাটা বেড়ে গেলেও এর নেতিবাচক দিক রয়েছে। কারণ চীনা গাড়ি প্রস্তুতকারকরা বিক্রির জন্য বৈশ্বিক অন্যান্য প্রতিদ্বন্দ্বীর তুলনায় কম সময় পায়।

তবে এবার মার্চে শেষ হওয়া প্রান্তিকে চীনের শীর্ষ পাঁচ গাড়ি নির্মাতার বিক্রি ২০ শতাংশের বেশি বেড়েছে। পাঁচটি কোম্পানিই শীর্ষ ২০-এ রয়েছে। শীর্ষে থাকা ২০ গাড়ি নির্মাতার বিক্রি গড়ে ২ শতাংশ বেড়েছে। এছাড়া গিলি গ্রুপের অধীনস্থ ভলভো কারের বিক্রি ১২ শতাংশ বেড়েছে।

চীনের বিওয়াইডি প্রথম প্রান্তিকে ৬ লাখ ২০ হাজার গাড়ি বিক্রি করেছে। এর মধ্যে ইভি ছিল তিন লাখ। টেসলার বিক্রি করেছে ৩ লাখ ৮০ হাজার ইউনিট গাড়ি।

এছাড়া সামগ্রিক প্রবৃদ্ধির পেছনে অগ্রগণ্য ভূমিকা রাখছে চীন থেকে গাড়ির রফতানি। বিদেশে গিলি গ্রুপের বিক্রি ৪৩ শতাংশ বেড়েছে। ইউরোপ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াজুড়ে বিওয়াইডির রফতানি ১৫০ শতাংশ বেড়েছে। চীনে ইভি বিক্রির পরিমাণ চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে ৩২ শতাংশ বেড়েছে। কিন্তু শক্তিশালী প্রতিযোগিতার কারণে এ সময় বিওয়াইডি গাড়ির দাম কমাতে শুরু করে। ফলে ইভির দাম প্রচলিত পেট্রল-ইঞ্জিনের যানবাহনের পর্যায়ে চলে আসছে।

ইভি বাজার সরবরাহের আধিপত্য বিস্তার করার চেষ্টা করছে চীন। দেশটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের তথ্যানুসারে, চীনে ইভি উৎপাদন ক্ষমতা ২০২৫ সালে ৩ কোটি ৬০ লাখে পৌঁছবে। অটোমেকার ও স্থানীয় সরকারগুলো ইভি সম্পর্কিত বেশকিছু পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। তা সত্ত্বেও চীনে আগামী বছর ১ কোটি ৭০ লাখ গাড়ি বিক্রি হবে বলে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। তবে সরবরাহ ও চাহিদার মধ্যে ব্যাপক ব্যবধান থাকবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

চীনা গাড়ি নির্মাতারা ব্যবসা সম্প্রসারণে বিদেশী বাজারের দিকে তাকিয়ে আছে। ২০২৩ সালে নতুন ধরনের জ্বালানিচালিত যানবাহন রফতানি ৭৮ শতাংশ বেড়ে ১২ লাখে পৌঁছেছে। ২০২৫ সালে তা ৩৫ লাখে পৌঁছবে বলে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *