পাঁচ কার্যদিবস পর ঊর্ধ্বমুখী শেয়ারবাজার

স্টাফ রিপোর্টার

টানা পাঁচ কার্যদিবস পতনের পর বুধবার দেশের শেয়ারবাজারে ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মিলেছে। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে, কমেছে তার থেকে কম। একই সঙ্গে বেড়েছে সবকটি মূল্যসূচক।

পাঁচ কার্যদিবস পর মূল্যসূচক ঊর্ধ্বমুখী করতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে গ্রামীণফোন ও ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো। ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়ার পর এ দুই প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দামে বড় পতন হয়। সেই পতন থেকে বেরিয়ে আজ দাম বাড়ার তালিকায় চলে এসেছে কোম্পানি দুটি।

অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) দাম বাড়ার তুলনায় দাম কমার তালিকায় কম প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ফলে এ বাজারটিতেও সবকটি মূল্যসূচক বেড়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ।

এদিন শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেন শুরু হতেই ডিএসইর প্রধান সূচক ২০ পয়েন্ট বেড়ে যায়। লেনদেনের শুরুতে দেখা দেয়া এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা লেনদেনের শেষ পর্যন্ত অব্যাহত থাকে।

এমনকি লেনদেনের শেষদিকে সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা আরও বাড়ে। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ১৭৬টি প্রতিষ্ঠান। বিপরীতে দাম কমেছে ১৫৫টি প্রতিষ্ঠানের। আর ৬৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৩৪ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ১৬৬ পয়েন্টে উঠে এসেছে। দাম কমা ও দাম বাড়ার তালিকায় প্রায় সমান সংখ্যক প্রতিষ্ঠান থাকলেও সূচকের মোটামুটি এই বড় উত্থানে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে গ্রামীণফোন ও ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো।

এর মধ্যে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৯ টাকা ১০ পয়সা। আর গ্রামীণফোনের প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়েছে ৪ টাকা ১০ পয়সা।

অপর দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৮ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ১০৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক আগের দিনের তুলনায় ২ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৩৪৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

সবকটি মূল্যসূচক বাড়লেও লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা কমেছে। ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৩০ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৮৪৩ কোটি ৭২ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন কমেছে ১১৩ কোটি ৩৩ লাখ টাকা।

এই লেনদেনে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে ফু-ওয়াং সিরামিকসের শেয়ার। কোম্পানিটির ৪৩ কোটি ৮২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ফরচুন সুজের ৩১ কোটি ৩১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ২৭ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে আফতাব অটোমোবাইল।

এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস, বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস, এডভেন্ট ফার্মা, ওরিয়ন ইনফিউশন, বেস্ট হোল্ডিং, মুন্নু ফেব্রিক্স এবং গ্রামীণফোন।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ৪৯ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ২৪৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১১০টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১০৭টির এবং ৩০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ২২ কোটি ৭২ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ১২ কোটি ৭৪ লাখ টাকা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *