রাশিয়া থেকে এবার ব্যবসা গোটাচ্ছে এলজি, সনি ও বশ
ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে রাশিয়া থেকে এ পর্যন্ত ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছে অনেক পশ্চিমা কোম্পানি। সে তালিকায় এবার যুক্ত হতে যাচ্ছে ইলেকট্রনিক পণ্য উৎপাদক প্রতিষ্ঠান এলজি, সনি ও বশ। কোম্পানিগুলো এরই মধ্যে নিজস্ব ব্র্যান্ডের অনেক শোরুম বন্ধ করে দিয়েছে। এসব ব্র্যান্ডের প্রতিনিধিদের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে রুশ সংবাদমাধ্যম কমারসেন্ট।
ইউক্রেনে হামলার প্রতিক্রিয়ায় দুই বছরে কয়েক ধাপে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে পশ্চিমা দেশগুলো। নিষেধাজ্ঞার কারণে রাশিয়ায় স্বাভাবিকভাবে বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা করা দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে কোম্পানিগুলোর জন্য। এ কারণেই দেশটিতে ব্যবসা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হচ্ছে তারা।
এ তিন ইলেকট্রনিক জায়ান্ট কোম্পানি আগেই রাশিয়ার বাজার থেকে ব্যবসা গুটিয়ে নেয়া এবং পণ্য ডেলিভারি বন্ধের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছিল। সাম্প্রতিক সময়ের আগ পর্যন্ত ব্র্যান্ডগুলো ধারাবাহিকভাবেই রাশিয়ায় বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা করেছে।
কমারসেন্টকে এলজির টেকনিক্যাল সাপোর্ট টিম জানায়, কোম্পানিটি রাশিয়ান সব শোরুম বন্ধ করে দেয়ার পরিকল্পনা করছে। নিষেধাজ্ঞার কারণে রাশিয়ায় পণ্য এনে শোরুমগুলোয় সরবরাহ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। এ কারণেই শোরুমগুলো বন্ধ করে দিতে বাধ্য হচ্ছে কোম্পানিটি। একই কথা জানিয়েছে সনির টেকনিক্যাল সাপোর্ট টিমও। তবে মস্কোয় গ্রীষ্ম পর্যন্ত কোম্পানি তিনটির শোরুম চালু থাকবে বলেও জানা গেছে।
বশের এক প্রতিনিধি জানান, মস্কোয় একটি ছাড়া বাকি সব খুচরা বিক্রয় কেন্দ্র বন্ধ করে দেয়া হবে। মজুদে থাকা পণ্য বিক্রি শেষ হলে ওই শোরুমটিও বন্ধ করে দেয়া হবে।
একটি সূত্র জানায়, কোম্পানি তিনটি নিষেধাজ্ঞার কারণে অনেক আগেই রাশিয়া থেকে ব্যবসা গুটিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা করছিল। কিন্তু শপিংমলগুলোর সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি লিজ চুক্তির কারণে এ পর্যন্ত তা সম্ভব হয়নি।
এর আগে খাদ্যপণ্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে ম্যাকডোনাল্ডস, কোকা-কোলা, হেইনিকেন ও স্টারবাকস; প্রসাধনী কোম্পানিগুলোর মধ্যে ল’রেল ও এস্তে লউডার, ডেনমার্কের শিপিং অ্যান্ড লজিস্টিক গ্রুপ এপি মোলার-মায়েরস্ক, ফ্রান্সের লেরয় মার্লিন, ফিনল্যান্ডভিত্তিক টেলিকম যন্ত্রাংশ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান নকিয়াসহ আরো অনেক বড় কোম্পানি ব্যবসা গুটিয়ে নেয়।