আরও তিন প্রতিষ্ঠানের ফ্লোর প্রাইস তুলে নিলো বিএসইসি
তৃতীয় দফায় আরও তিন প্রতিষ্ঠানের ওপর থেকে ফ্লোর প্রাইস (বেঁধে দেওয়া সর্বনিম্ন দামের সীমা) তুলে নিয়েছে পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। অপরদিকে, আরও তিন প্রতিষ্ঠানের ফ্লোর প্রাইস কবে তুলে দেওয়া হবে সেই সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিএসইসি থেকে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। এতে সই করেছেন বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম।
নতুন করে যে তিন কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস তুলে দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে- আনোয়ার গ্যালভানাইজিং, ওরিয়ন ফার্মা ও রেনেটা।
অপরদিকে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, গ্রামীণফোন এবং রবি আজিয়াটার ওপর থেকে ফ্লোর প্রাইস কবে তুলে নেওয়া হবে সেই সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। এ তিন প্রতিষ্ঠানের ওপর থেকে ফ্লোর প্রাইস আগামী রেকর্ড ডেটের দিন উঠে যাবে।
কমিশনের এ সিদ্ধান্তের ফলে এখন বস্তুত ৬ কোম্পানির ওপর ফ্লোর প্রাইস বহাল থাকবে। কোম্পানিগুলো হচ্ছে- বেক্সিমকো, বিএসআরএম লিমিটেড, ইসলামী ব্যাংক, খুলনা পাওয়ার, মেঘনা পেট্রোলিয়াম ও শাহজিবাজার পাওয়ার।
এর আগে গত ১৮ জানুয়ারি ৩৫টি রেখে বাকি সব কোম্পানির ওপর থেকে ফ্লোর প্রাইস তুলে নিয়েছিল কমিশন। এর ২ কার্যদিবসের মাথায় বা ২২ জানুয়ারি ওই ৩৫টির মধ্য থেকে ১২টি রেখে ২৩টি থেকে ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়া হয়।
শেয়ারবাজারে লাগাতার পতন ঠেকাতে না পেরে গত চার বছরে কয়েক দফায় শেয়ারে ফ্লোর প্রাইস আরোপ করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। প্রথমবার ২০২০ সালে মার্চে ফ্লোর প্রাইস আরোপ করলেও তুলে নেওয়া হয় ২০২১ সালের জুলাইয়ে।
এরপর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে ২০২২ সালের জুলাইয়ে আবারও ফ্লোর প্রাইস আরোপ করে বিএসইসি। এ পর্যায়ে শেয়ার লেনদেন ব্যাপক কমে গেলে সমালোচনায় পড়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
সম্প্রতি ফ্লোর প্রাইস নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠলে কয়েক দফায় ৬টি রেখে বাকি প্রতিষ্ঠানের ওপর থেকে এ ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়া হলো।