মতিঝিল অফিস ভুলভাবে চিঠি উপস্থাপন করেছে

স্টাফ রিপোর্টার

শরিয়াহভিত্তিক পাঁচ ব্যাংকের আর্থিক লেনদেন সেবা বন্ধের উপক্রম হয়েছে। টাকার ঘাটতির (বিধিবদ্ধ তারল্য) কারণে এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছে ব্যাংকগুলোকে। এ পাঁচ ব্যাংককে চিঠি দিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতিঝিল অফিস জানিয়েছে, ব্যাংকগুলোর সঙ্গে থাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের চলতি হিসাবের স্থিতি দীর্ঘদিন ধরে ঋণাত্মক।

তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে থাকা চলতি হিসাবে ঘাটতি সমন্বয় করতে না পারলে পাঁচ ইসলামি ব্যাংকের ক্লিয়ারিং প্ল্যাটফর্ম সেবা বাতিল হতে পারে এমন চিঠিটি মতিঝিল অফিস ভুলভাবে উপস্থাপন করেছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক। রোববার (১৭ ডিসেম্বর) সমসাময়িক বিষয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।

মেজবাউল হক বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতিঝিল অফিসের সঙ্গে ব্যাংকগুলোর চলতি হিসাব থাকে। অনেক ব্যাংকের এসব অ্যাকাউন্ট (হিসাব) ঘাটতি অথবা অন্য কোনো সমস্যা থাকলে তারা চিঠি দেন। তবে কোনো ব্যাংকের পেমেন্ট ক্লিয়ারিং সেবা বাতিলের সিদ্ধান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।

তিনি বলেন, যদি কোনো ব্যাংকের ক্লিয়ারিং সেবা বাতিল করতে হয় সে সিদ্ধান্ত নেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেম ডিপার্টমেন্ট। এই ডিপার্টমেন্ট থেকে পাঁচটি ইসলামি ব্যাংকের এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে তিনি মতিঝিল অফিস থেকে পাঠানো চিঠিটির বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন।

গত ২৮ নভেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল অফিস পাঁচ শরিয়াহ ব্যাংককে জানায়, এই পাঁচ ব্যাংককে বারবার অবহিত করার পরও উল্লেখযোগ্য কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক চলতি হিসাবের ঋণাত্মক স্থিতি সমন্বয়ে ২০ দিনের সময় বেঁধে দিয়েছে। সব ব্যাংকের চলতি হিসাব ঋণাত্মক হলেও লেনদেন হচ্ছে। পর্যাপ্ত অর্থ রাখতে না পারলে লেনদেন বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বিধিবদ্ধ তারল্য রাখতে পারছে না এসব ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে- ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকও ইউনিয়ন ব্যাংক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *