অর্থনীতি গতিশীল রাখতে চীনের নতুন পরিকল্পনা

স্টাফ রিপোর্টার

অর্থনীতিকে গতিশীল রাখতে নতুন পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে চীন। এ লক্ষ্য অর্জনে নেতৃত্ব দেবে দেশটির ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি। চীনা সরকারের দুই দশক উপলক্ষে কেন্দ্রীয় আর্থিক কর্ম সম্মেলনে এ ঘোষণা দেয়া হয়। খবর নিক্কেই এশিয়া।

প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের নেতৃত্বে সম্প্রতি সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়। বর্তমানে দেশটি মন্থর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, শিল্পে দীর্ঘস্থায়ী মন্দা, দুর্বল শেয়ার বাজার ও স্থানীয় সরকারের ঋণ বৃদ্ধিসংক্রান্ত সংকটের মুখে পড়েছে।

১৯৯৭ সাল থেকে আর্থিক কর্ম সম্মেলন করে আসছে চীন। এটি ছিল ষষ্ঠ আসর। সম্মেলনে জোর দেয়া হয় আর্থিক খাতের ওপর। এর মূল সুর ছিল—‌অর্থ হলো জাতীয় অর্থনীতির প্রাণশক্তি ও দেশের প্রতিযোগিতার চাবিকাঠি।

আগের পাঁচটি সম্মেলনের প্রতিটিতে ভিন্ন বিষয় ও কাজের ওপর জোর দিয়েছিল চীনা সরকার। এতে দেশটির অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জগুলোর প্রতিফলন লক্ষ্য করা গেছে।

সম্মেলনে প্রথমবারের মতো আবাসন খাত নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়। সম্পত্তির মন্দা চীনের শেয়ার বাজারে কঠোর আঘাত হেনেছে। সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসআই) সূচক সম্প্রতি সাড়ে চার বছরের মধ্যে সর্বনিম্নে নেমে এসেছে। বাজার চাঙা করার জন্য ধারাবাহিক পদক্ষেপ নেয়ার পরও চলতি বছর সূচক প্রায় ১০ শতাংশ নিচে নেমেছে।

ইউয়েকাই সিকিউরিটিজের প্রধান সামষ্টিক অর্থনৈতিক বিশ্লেষক লুও ঝিহেং বলেন, ‘‌এ বছর আর্থিক কর্ম সম্মেলনের স্লোগান হচ্ছে—‌কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্বে চীনের আর্থিক খাতের ওপর শক্তিশালী নিয়ন্ত্রণ, ঝুঁকি প্রতিরোধ ও প্রবৃদ্ধি অর্জন।’

আর্থিক শিল্পের বেশ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, এ সম্মেলনে গৃহীত সিদ্ধান্তগুলো আর্থিক খাতের ওপর কমিউনিস্ট পার্টির নিয়ন্ত্রণকে শক্তিশালী করবে, যা সব আর্থিক কাজের নিশ্চয়তা দেবে। এছাড়া এবার সম্মেলনের নাম ‘‌জাতীয় আর্থিক কর্ম সম্মেলন’ পরিবর্তন করে ‘‌কেন্দ্রীয় আর্থিক কর্ম সম্মেলন’ করা হয়।

সম্মেলনের সিদ্ধান্ত অনুসারে, আর্থিক কমিশন সামগ্রিক অর্থনৈতিক পরিকল্পনা ও সমন্বয়ের নেতৃত্ব দেবে। আর আর্থিক কর্ম কমিশন সমাজতান্ত্রিক দল গঠনে নেতৃত্ব দেবে। এছাড়া সংস্থা দুটির স্থানীয় শাখা অনুরূপ দায়িত্ব পালন করবে।

আর্থিক কমিশন অর্থনৈতিক বিষয়ে নেতৃত্ব দেয়ার জন্য গত মার্চে কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সরাসরি তত্ত্বাবধানে প্রতিষ্ঠা করা হয়। এ প্রসঙ্গে একজন আর্থিক নিয়ন্ত্রক বলেন, ‘‌সিএফসি প্রতিষ্ঠা এ ইঙ্গিত দেয় যে প্রাক্তন কমিটি আর্থিক ঝুঁকি প্রতিরোধে পরিকল্পনা ও সমন্বয়ের ক্ষেত্রে যথেষ্ট কাজ করেনি।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *