জীবন ইসলাম বাংলা একাডেমীর জীবন সদস্য

স্টাফ রিপোর্টার

জীবন ইসলাম বাংলা একাডেমীর জীবন সদস্য হয়েছেন। তার পরিচিতি নম্বর ২৫৩৭। এর আগে তিনি বাংলা একাডেমীর সদস্য ছিলেন; যার পরিচিতি নম্বর ছিল ৩৯৫২।
এছাড়া জীবন ইসলাম রেজিষ্ট্রার্ড গ্র্যাজুয়েট অ্যাসোসয়িশেন ঢাবি ও অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন ঢাবি’র ইতিহাস বিভাগের আজীবন সদস্য, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের স্থায়ী সদস্য এবং টাঙ্গাইল প্রেস ক্লাবের সহযোগী সদস্য ও এনায়েতপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রেস ক্লাবের উপদেষ্টা। কবি ও কথাসাহিত্যিক জীবন ইসলাম পেশায় একজন সাংবাদিক; পাশাপাশি কবিতা ও উপন্যাস লিখে চলেছেন। তাঁর পিতা শেখ মোঃ মোকবুল হোসেন, মাতা নুরজাহান বেগম।
টাঙ্গাইল জেলার সদর থানার মাকোরকোল গ্রামের এক মুসলিম পরিবারে ১৯৬৪ সালের ৬ এপ্রিল জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ (অর্নাস) এমএ (ইতিহাস) এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন। কলেজের লেকচারার হিসেবে র্কমজীবন শুরু; পরে সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নেন।

দৈনিক কিষাণ, জনতা ও ভোরের কাগজ পত্রিকায় অর্থনৈতিক প্রতিবেদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি দি ডেইলি অবজারভার পত্রিকায় সিনিয়র ইকোনমকি করসপন্ডেন্ট হিসেবে কর্মরত।
জীবন ইসলাম পেশাগত মান উন্নয়নে প্রশিক্ষণ গ্রহণসহ সাহিত্য ও সংস্কৃতিক অঙ্গনে দীর্ঘদিন যাবৎ সর্দপে পদচারণ করে চলেছেন। তিনি ‘ব্যবসা-বাণজ্যি’ বিষয়ক অনুষ্ঠান গ্রন্থনা, উপস্থাপনা ও পরিচালনা করেছেন স্যাটেলাইট চ্যানেল এটিএন বাংলা এবং বিটিভিতে।
২০০৪ সালে ‘আমদান-রপ্তানি সংক্রান্ত শ্রেষ্ট রিপোর্টিংয়ের জন্য ইকোনমকি রিপোর্টার্স  ফোরাম (ইআরএফ) ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সৌজন্যে ২০০৬ সালে ‘ব্যাংকিং বিষয়ক’ শ্রেষ্ট রিপোর্টিংয়ের জন্য ডিআরইউ তাকে পুরস্কৃত করে; ২০০৯ ও ২০১৭ সালে শ্রেষ্ট রিপোর্টিংয়ের জন্য বিআরএফডি তাঁকে পুরস্কৃত করে। কবি ও লেখক হিসেবে দুবার জাতীয় প্রেস ক্লাব ও দশবার ডিআরইউ পদক গ্রহণ করে। ২০১২ সালে ভোরের কাগজ কর্তৃক ‘কাব্য কাণ্ডারি উপাধি ও ‘সংগঠক’ হিসেবে ২০১৪ সালে বৃহত্তর ময়মনসিংহ সাংবাদিক সমিতি- ঢাকা তাঁকে পদক প্রদান করে। ২০১৬ সালে কবিতা ও সাহিত্যে মানবাধিকার প্রকাশনা সংস্থা ও লোককবি আবদুল হাই মাশরেকী স্মৃতি পদক প্রদান করে।
চারবার জাতীয় শশিু-কিশোর সংগঠন ‘আমরা কুঁড়ি ও দুবার জাতীয় শশিু-কিশোর সংগঠন ‘সংশপ্তক’ কবিতা ও সাহিত্যে অবদান রাখায় পদক প্রদান করে। ২০১৯ সালে সাংবাদিকতা ও সাহিত্যে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন র্স্বণপদক প্রদান করা হয়। শিক্ষানুরাগী হিসেবে কাতুলী উচ্চ বিদ্যালয় ও বালিয়াপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়, টাঙ্গাইল সদর তাঁকে পদক প্রদান করে; কবি ও কথাসাহিত্যিক ও শিক্ষানুরাগী হিসেবে ‘বীরাঙ্গনা সখিনা সিলভার পেন- অ্যাওর্য়াড ২০২২’ পদক প্রদান করে।
জীবন ইসলাম’র লেখা গ্রন্থ  ‘হৃদয়ে ঠিকানা (১৯৯৮, ২০১১), একটু সুখের জন্য (২০০২, ২০১৬), কাশবনের গাঁ (২০০৪, ২০১৫, ২০১৬), একদিন যমুনায় (২০০৯, ২০১৭), রেবেকার সংসার (২০১২), অরক্ষিত জীবন (২০১৩), ভালো আছি (২০১৪), এইতো জনম (২০১৮), ঢাকায় একরাত (২০১৯), একাত্তরে শিলারা (২০২২)। সম্পাদিত গ্রন্থ-  অর্থনীতির বাংলাদেশ (২০০৭) ও বঙ্গবন্ধুর অর্থনীতি (২০২০)। কাব্যগ্রন্থ ‘পৃথিবীটা ভাড়া বাড়ি’ (২০২৩); পূর্ণিমায় সেন্টমার্টিন (২০২৪); ছাড়াও যন্ত্রস্থ স্বপ্নের শহর ও ‘ভাড়াটিয়া।’
কবি জীবন ইসলাম মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেছেন। তিনি জয়া ও জ্যোতি দুই কন্যাসন্তানের জনক। কবি প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি বালিয়াপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়’, সদর থানা টাঙ্গাইল। তিনি সাবেক সহ-সভাপতি ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) ও ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেড। সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও বৃহত্তর ময়মনসিংহ সাংবাদিক ফোরাম, ঢাকা’র সাবকে র্অথ সম্পাদক, টাঙ্গাইল সাংবাদকি ফোরাম, ঢাকা’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক।
দুঃসাহসকি খুদে মুক্তিযোদ্ধা কবি জীবন ইসলাম ১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধাদের গুলি বহন করতে গিয়ে রাজাকারের হাতে ধরা পড়েন এবং অলৌককিভাবে বেঁচে যান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *