লভ্যাংশের ঘোষণায় শেয়ার দাম বাড়লো সাড়ে ১৮ শতাংশ
শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত দেশবন্ধু পলিমারের শেয়ার দাম একদিনেই প্রায় সাড়ে ১৮ শতাংশ বেড়েছে। লভ্যাংশ ঘোষণার কারণে শেয়ার দাম বাড়ার ক্ষেত্রে কোনো সার্কিট ব্রেকার না থাকায় একদিনে কোম্পানিটির শেয়ার দাম এত বেশি হারে বাড়ার সুযোগ পেয়েছে।
একদিনে শেয়ার দাম প্রায় সাড়ে ১৮ শতাংশ বাড়লেও কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ২০২৩ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত বছরের জন্য ২ দশমিক ৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে এ লভ্যাংশ সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করা হয়।
লভ্যাংশ ঘোষণা আসায় এদিন শেয়ারবাজারে লেনদেনের শুরুতেই দেশবন্ধু পলিমারের শেয়ার দাম বাড়তে দেখা যায় এবং লেনদেনের সময় যত গড়াচ্ছিল দাম বাড়ার প্রবণতা তত বাড়তে দেখা যায়। ফলে দিনের লেনদেন শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ার দাম ৪ টাকা ২০ পয়সা বা ১৮ দশমিক ৩৪ শতাংশ। এতে একদিনে কোম্পানিটির শেয়ার দাম সমন্বিতভাবে বেড়েছে ২৫ কোটি ৭৭ লাখ ৩৩ হাজার ৬৩০ টাকা।
কোম্পানিটির শেয়ারের এমন দাম বাড়াকে অস্বাভাবিক বলছেন শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্টরা। এ বিষয়ে ডিএসইর এক সদস্য বলেন, একটি কোম্পানি আড়াই শতাংশ নগদ লভ্যাংশ করলো। তার প্রভাবে একদিনে শেয়ার দাম সাড়ে ১৮ শতাংশ বেড়ে গেল। এটা কিছুতেই স্বাভাবিক হতে পারে না। এ শেয়ার দাম বাড়ার পেছনে কোনো বিশেষচক্র থাকতে পারে। বিষয়টি নিয়ন্ত্রক সংস্থার ক্ষতিয়ে দেখা উচিত। পাশাপাশি বিনিয়োগাকরীদেরও সতর্কতার সঙ্গে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।
তথ্য পর্যলোচনায় দেখা যায়, সোমবার লেনদেন শেষে দেশবন্ধু পলিমারের প্রতিটি শেয়ারের দাম ছিল ২২ টাকা ৯০ পয়সা। আর মঙ্গলবার লেনদেন শুরু হয় ২৩ টাকায়। ধারাবাহিকভাবে দাম বেড়ে দিনের লেনদেন শেষে প্রতিটি শেয়ারের দাম দাঁড়িয়েছে ২৭ টাকা ১০ পয়সায়।
কোম্পানিটি ২০১১ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ২০২৩ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত বছরে আড়াই শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণার আগে ২০২২ সালে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়। তার আগে ২০২১, ২০২০, ২০১৯ ও ২০১৮ সালে ৫ শতাংশ করে নগদ লভ্যাংশ দেয়।
৬১ কোটি ৩৬ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধনের এ কোম্পানিটির শেয়ার সংখ্যা ৬ কোটি ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ১৫০টি। এর মধ্যে ৩৩ দশমিক ৫৪ শতাংশ আছে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের হাতে। বাকি শেয়ারের মধ্যে ৫৪ দশমিক ৮২ শতাংশ শেয়ার আছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে। আর প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১১ দশমিক ৬৪ শতাংশ শেয়ার আছে।