ভিয়েতনামের কফি রফতানি ৫.৪ শতাংশ কমেছে

স্টাফ রিপোর্টার

চলতি বছরের প্রথম আট মাসে ভিয়েতনামের কফি রফতানি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৫ দশমিক ৪ শতাংশ কমেছে। রফতানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১২ লাখ টনে। দেশটির শুল্ক বিভাগ সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। খবর বিজনেস রেকর্ডার।

এক বিবৃতিতে শুল্ক বিভাগ জানায়, জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত দেশটি কফি রফতানি থেকে আয় করেছে ২৯০ কোটি ডলার। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় বেড়েছে ৩ দশমিক ১ শতাংশ।

ভিয়েতনামে ২০২৩-২৪ বিপণন মৌসুমে কফি উৎপাদন বাড়ার পূর্বাভাস মিলেছে। মার্কিন কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) ফরেন এগ্রিকালচারাল সার্ভিস এ পূর্বাভাস দিয়েছে। এতে বলা হয়, সারের মূল্যবৃদ্ধি এবং আবাদের পরিমাণ কমে যাওয়া সত্ত্বেও উৎপাদন ২০২২-২৩ মৌসুমের তুলনায় ৬ শতাংশ বাড়বে।

পূর্বাভাসে বলা হয়, উৎপাদন বাড়লেও পানীয় পণ্যটির রফতানি লক্ষণীয় মাত্রায় কমতে পারে। এর পেছনে দুটি কারণ উল্লেখ করেছে ইউএসডিএ। এর মধ্যে একটি হলো গ্রিন কফির মজুদ কমে যাওয়া। অন্যটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের কঠোর আমদানি নীতিমালা।

ভিয়েতনাম বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ কফি উৎপাদক। ২০২৩-২৪ বিপণন মৌসুমে দেশটির কফি উৎপাদন ৩ কোটি ১৩ হাজার ব্যাগে (প্রতি ব্যাগে ৬০ কেজি) উন্নীত হতে পারে। রফতানি ৪ শতাংশ কমে নামতে পারে ২ কোটি ৭৫ লাখ ব্যাগে।

ইউএসডিএর প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩-২৪ বিপণন মৌসুমে কফির বৈশ্বিক চাহিদা ১-২ শতাংশ বাড়তে পারে। যুক্তরাষ্ট্র ও এশিয়ার দেশগুলো চাহিদা বৃদ্ধিতে প্রধান ভূমিকা পালন করবে। এ সময় ভিয়েতনামের রোবাস্তা কফি বাজারে প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান তৈরি করে নিতে সক্ষম হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *