নেপালের চাল উৎপাদন বাড়তে পারে

প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে হিমালয়কন্যা নেপালের চাল উৎপাদন খাতে গত বছর মন্দাভাব বজায় ছিল। তবে চলতি বছর আবহাওয়া স্বাভাবিক থাকায় দেশটিতে ধান-চালের বাম্পার ফলন হয়েছে।

ফলে বছর শেষে নেপালে আগের বছরের তুলনায় দশমিক ৬০ শতাংশ অতিরিক্ত চাল উৎপাদন হতে পারে। মার্কিন কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) ফরেন এগ্রিকালচারাল সার্ভিসের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে এ পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। খবর এগ্রিমানি ও হিমালয়ান টাইমস।

ইউএসডিএর প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৫ সালে নেপালে সব মিলিয়ে ২৮ লাখ ৬৩ হাজার টন চাল উৎপাদন হয়েছিল, যা আগের বছরের তুলনায় ১০ দশমিক ২৫ শতাংশ কম।

বছরের ব্যবধানে ২০১৬ সালে নেপালে খাদ্যপণ্যটির উৎপাদন আগের বছরের তুলনায় ২১ দশমিক ৫৫ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় ৩৪ লাখ ৮০ হাজার টনে। সে হিসাবে, এক বছরের ব্যবধানে দেশটিতে খাদ্যপণ্যটির উৎপাদন বেড়েছে ৬ লাখ ১৭ হাজার টন। নেপালের ইতিহাসে এটাই চাল উৎপাদনের সর্বোচ্চ রেকর্ড।

পরের বছর দেশটিতে চাল উৎপাদনে ফের মন্দাভাব ফিরে এসেছে। ইউএসডিএর তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সালে নেপালে সব মিলিয়ে ৩৩ লাখ ১০ হাজার টন চাল উৎপাদন হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৪ দশমিক ৮৯ শতাংশ কম।

চলতি বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় নেপালে ৩৩ লাখ ৩০ হাজার টন চাল উৎপাদনের পূর্বাভাস দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। সে হিসাবে, এক বছরের ব্যবধানে দেশটিতে চাল উৎপাদন বাড়তে পারে দশমিক ৬০ শতাংশ বা ২০ হাজার টন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *