সুতার দাম আরেক দফা বেড়েছে

স্টাফ রিপোর্টার

দেশের বৃহত্তম পাইকারি বাজার নারায়ণগঞ্জের টানবাজারে সুতার দামে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বজায় রয়েছে। চাহিদা ও আন্তর্জাতিক বাজারে সুতা তৈরির কাঁচামাল তুলার মূল্যবৃদ্ধির কারণে দাম আরো এক দফা বেড়েছে। ব্যবসায়ীরা জানান, বিভিন্ন কাউন্টের সুতার দাম বেড়েছে ৩-১০ টাকা পর্যন্ত।

টানবাজার ঘুরে দেখা যায়, ১০ কাউন্টের সুতা প্রকারভেদে বেচাকেনা হচ্ছে ৫৫-৭৫ টাকা পাউন্ড দরে। একই কাউন্টের সুতা দুই সপ্তাহ আগে বেচাকেনা হয়েছিল ৫২-৭০ টাকা দরে। সে হিসাবে দাম বেড়েছে প্রকারভেদে ৩-৫ টাকা।

২০ কাউন্টের টানা সুতা বেচাকেনা হচ্ছে প্রকারভেদে ১০৪-১১৪ টাকা দরে। একই কাউন্টের সুতা ১৫ দিনে আগেও বেচাকেনা হয়েছিল ১০২-১১০ টাকা পাউন্ড দরে। সে হিসাবে দাম বেড়েছে ৪-৬ টাকা।

২৪, ২৬, ২৮ ও ৩০ কাউন্টের গার্মেন্টস এক্সপোর্ট কোয়ালিটির সুতা বেচাকেনা হচ্ছে ১৭০-১৭২ টাকা দরে। একই কাউন্টের সুতা এক সপ্তাহ আগে বেচাকেনা হয়েছিল ১৫০-১৬৫ টাকা পাউন্ড দরে। সে হিসাবে দাম বেড়েছে প্রায় ১০ টাকা।

৪০ কাউন্টের সুতা বেচাকেনা হচ্ছে ১৫৩-১৭৫ টাকা দরে। একই কাউন্টের সুতা দুই সপ্তাহ আগে ১৫০-১৭০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। সে হিসাবে দাম বেড়েছে ৩ থেকে ৫ টাকা।

৫০ কাউন্টের সুতা বেচাকেনা হচ্ছে প্রকারভেদে ১৮২-১৯১ টাকা দরে। একই কাউন্টের সুতা বাজারে কয়েকদিন আগে বেচাকেনা হয়েছিল ১৮০-১৯০ টাকা দরে। সে হিসাবে দাম বেড়েছে ২-৩ টাকা।

৬০ কাউন্টের সুতা বেচাকেনা হচ্ছে ২০২ থেকে ২০৮ টাকা দরে। একই কাউন্টের সুতা বেশ কিছুদিন আগে বেচাকেনা হয়েছিল ২০০ থেকে ২০৫ টাকা দরে। সে হিসাবে ৬০ কাউন্টের সুতার দাম বেড়েছে ৩-৫ টাকা।

৮০ কাউন্টের সুতা বেচাকেনা হচ্ছে ৩০০ টাকা দরে। একই কাউন্টের সুতা দুই সপ্তাহ আগে বেচাকেনা হয়েছিল ২৯০-২৯৫ টাকা দরে। সে হিসাবে দাম বেড়েছে ৫ টাকা।

সুতা ব্যবসায়ী কামাল হোসেন জানান, আন্তর্জাতিক বাজারে সুতা তৈরির কাঁচামালের মূল্যবৃদ্ধি এবং দেশের বাজারে সুতার চাহিদা বাড়ায় স্পিনিং মিলগুলো থেকে দাম কিছুটা বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এক-দুই সপ্তাহের ব্যবধানে পাউন্ডপ্রতি দাম বেড়েছে ৫-১০ টাকা। ২৪, ২৬, ২৮, ৩০ ও ৩২ কাউন্টের সুতার দাম পাউন্ডপ্রতি ৫-১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

আরেক সুতা ব্যবসায়ী দেবাশীষ সাহা জানান, টানবাজারের সুতার সবচেয়ে বড় গ্রাহক তাঁতি ও হোসিয়ারি শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা। কাপড় তৈরির মৌসুম শুরু হতে যাচ্ছে। বিশেষ করে শীতের পণ্য ও রোজার ঈদ সামনে রেখে তাঁত ও হোসিয়ারি কারখানায় নতুন নতুন পোশাক প্রস্তুত করা হবে। সে কারণে তাঁতিরা বাজার থেকে সুতা সংগ্রহ করছেন। চাহিদা বাড়ার কারণে স্পিনিং মিল থেকে সুতার দাম বাড়িয়ে বিক্রি করা হচ্ছে। ফলে টানাবাজারের ব্যবসায়ীরাও বাড়তি দামে সুতা কেনাবেচা করছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *