ডলার কেনায় সিঙ্গেল দর কার্যকর: এবিবি–বাফেদার যৌথ সভা সিদ্ধান্ত
রপ্তানি ও রেমিট্যান্সে ডলার কেনায় একদর কার্যকর করলো ব্যাংকগুলো। রেমিট্যান্সে প্রতি ডলারে ৫০ পয়সা এবং রপ্তানি বিল নগদায়নে ১ টাকা বাড়িয়ে সব ক্ষেত্রে ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা করা হয়েছে। এছাড়া আমদানি ও আন্তঃব্যাংকে ডলারের সর্বোচ্চ দর হবে ১১০ টাকা। এতদিন যা ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা ছিল। আগামী কর্মদিবস থেকে নতুন দর কার্যকর হবে। বৃহস্পতিবার বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনকারী ব্যাংকের সংগঠন বাফেদা এবং ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশের (এবিবি) যৌথ সভায় এ সিদ্ধান্ত হয় বলে জানা গেছে।
বাফেদার চেয়ারম্যান ও সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফজাল করিম বলেন, ‘এখন থেকে সব ধরনের ডলার কেনার সর্বোচ্চ দর হবে ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা। আর বিক্রির সর্বোচ্চ দর হবে ১১০ টাকা।‘ সব ব্যাংক এ সিদ্ধান্ত মেনে চলবে বলে তিনি আশা করেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মৌখিক নির্দেশনার আলোকে ব্যাংকগুলো গতবছরের ১১ সেপ্টেম্বর থেকে ডলার কেনা ও বিক্রির একটি সর্বোচ্চ দর ঠিক করে দিচ্ছে। শুরুতে রপ্তানি বিল নগদায়নে প্রতি ডলার ৯৯ টাকা এবং রেমিট্যান্সে ১০৮ টাকা দর ঠিক করা হয়। ডলার কেনার গড় দরের সঙ্গে সর্বোচ্চ এক টাকা যোগ করে আমদানি ও আন্তঃব্যাংকে ডলার বিক্রির সিদ্ধান্ত হয়। তবে আইএমএফের ৪৭০ কোটি ডলার ঋণের শর্তের কারণে এখন ডলারের সিঙ্গেল রেট তথা একক দর কার্যকর করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকগুলোর কাছে এখন থেকে বিক্রি করবে ১১০টাকায়।
ডলার সঙ্কট মেটাতে আমদানি নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যবস্থা নিয়ে আসছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এরপরও চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি বিক্রি করা হয়েছে। গত অর্থবছর কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিক্রি করে ১৩ দশমিক ৫৮ বিলিয়ন ডলার। আর ২০২১–২২ অর্থবছরে বিক্রি করে ৭ দশমিক ৬২ বিলিয়ন ডলার। এভাবে ডলার বিক্রির ফলে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ধারাবাহিকভাবে কমে ২৩ বিলিয়ন ডলারে নেমেছে। ২০২১ সালের আগস্টে যা সর্বোচ্চ ৪৮ বিলিয়ন ডলারের ওপরে উঠেছিল।