এটিএস এক্সপোতে ৫০ কোটি টাকার ক্রয়াদেশ পেলো ওয়ালটন হোম অ্যাপ্লায়েন্স
চলতি মাসের ১০ থেকে ১২ আগস্ট পর্যন্ত দেশের শীর্ষ ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড ওয়ালটনের আয়োজনে রাজধানীতে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘ইন্টারন্যাশনাল অ্যাডভান্সড কম্পোনেন্টস অ্যান্ড টেকনোলজি (এটিএস) এক্সপো-২০২৩’। এক্সপোতে বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ৫০ কোটি টাকা মূল্যের হোম অ্যাপ্লায়েন্স ও কম্পোনেন্টেস এর ক্রয়াদেশ পেয়েছে ওয়ালটন।
এটিএস এক্সপোতে ৪টি ক্যাটাগরিতে মোট ২১টি স্টলে ওয়ালটনের তৈরি আন্তর্জাতিকমানের ৫০ হাজারেরও বেশি ইন্ডাস্ট্রিয়াল ম্যাটেরিয়ালস, কম্পোনেন্টস, সার্ভিসেস এবং টেস্টিং ফ্যাসিলিটিস প্রদর্শন করা হয়েছে। এর মধ্যে হোম ও কিচেন অ্যাপ্লায়েন্সের আওতাধীন বিভিন্ন ক্যাটাগরির ১৩টি পণ্য ও ১০ হাজারেরও বেশি কম্পোনেন্টস প্রদর্শন করা হয়। এগুলোর অধিকাংশই বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানে প্রধান কাঁচামাল ও কম্পোনেন্টস হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
প্রধান অতিথি হিসেবে এটিএস এক্সপো উদ্বোধন করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। এদিকে সমাপনী দিনে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনিসহ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ এবং সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি-কর্মকর্তারা ওয়ালটনের হোম ও কিচেন অ্যাপ্লায়েন্স স্টল পরিদর্শন করেছেন। পরিদর্শনকালে সব মহলের কাছে ব্যাপক প্রশংসিত হয় ওয়ালটনের হোম ও কিচেন অ্যাপ্লায়েন্সেস এবং কম্পোনেন্টস।
ওয়ালটন হোম ও কিচেন অ্যাপ্লায়েন্সের চিফ বিজনেস অফিসার (সিবিও) মোস্তফা কামাল বলেন, দেশের প্রতিটি ঘরে এখন ওয়ালটনের হোম ও কিচেন অ্যাপ্লায়েন্স শোভা পাচ্ছে। ওয়ালটনের এই পণ্য এখন আরও বেশি জনপ্রিয়। এরই ধারাবাহিকতায় এক্সপোতেও প্রত্যাশার চেয়ে অনেক বেশি সাড়া পেয়েছি আমরা। দেশি-বিদেশি অনেক কোম্পানির গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ পরিদর্শন করেছেন ওয়ালটন হোম ও কিচেন অ্যাপ্লায়েন্সের স্টল।
তিনি জানান, এক্সপোতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ৫০ কোটি টাকা মূল্যের হোম অ্যাপ্লায়েন্স বিক্রয়ের অর্ডার পেয়েছি। এছাড়া বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সাথে ব্যবসায়িক চুক্তির ফলপ্রসূ আলোচনাও হয়েছে। শিগগিরই তাদের কাছ থেকে উল্লেখযোগ্য অঙ্কের ক্রয়াদেশ মিলবে বলে আমাদের প্রত্যাশা। দেশীয় হোম অ্যাপ্লায়েন্সর উৎপাদনকারি শিল্প প্রতিষ্ঠানে স্থানীয় পর্যায়ে তৈরি উচ্চ গুণগতমানের কম্পোনেন্টস ব্যবহারের ফলে এ খাতের আমদানি নির্ভরতা কমার পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ের মাধ্যমে দেশ অর্থনৈতিকভাবে আরও সমৃদ্ধ হবে।
হোম ও কিচেন অ্যাপ্লায়েন্সের ব্র্যান্ড ম্যানেজার ফজলে রাব্বি খাদেম বলেন, দেশে হোম ও কিচেন অ্যাপ্লায়েন্সের বিশাল বাজার রয়েছে। এ খাতের বাৎসরিক চাহিদার পুরোটা মিটাতে সক্ষম ওয়ালটন হোম ও কিচেন অ্যাপ্লায়েন্সেস ম্যানুফ্যাকচারিং প্ল্যান্টস। দেশে ওয়াশিং মেশিনের বাৎসরিক চাহিদা ১ লাখ ৬০ হাজার ইউনিট। যেখানে বছরে ওয়ালটনের উৎপাদন ক্ষমতা রয়েছে ৩ লাখ ৫০ হাজার ইউনিটের বেশি। মাইক্রোওয়েভ ওভেনের চাহিদা রয়েছে ১ লাখ ১০ হাজারের। এর বিপরীতে ওয়ালটন প্রোডাকশন ইউনিটের উৎপাদন ক্ষমতা ১ লাখ ৭০ হাজার। এভাবে অন্যান্য পণ্য যেমন রাইস কুকার, গ্যাস স্টোভ, ব্লেন্ডার, ইন্ডাকশন ও ইনফ্রারেড কুকার, গিজার, আয়রন, ফ্রাই প্যান, ক্যাসেরোল, পিৎজা প্যান, মিল্ক প্যান, ইলেকট্রিক কেটলি, রুটি ও তাওয়া প্যানের মতো পণ্যের চাহিদা মেটাতে সক্ষম ওয়ালটন
এটিএস এক্সপোতে হোম ও কিচেন অ্যাপ্লায়েন্স স্টল পরিদর্শনে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানসহ ওয়ালটনের কর্মকর্তারা
তিনি জানান, ইউরোপীয় প্রযুক্তি ও মেশিনারিজের সমন্বয়ে গাজীপুরের চন্দ্রায় নিজস্ব প্রোডাকশন প্লান্টে হোম ও কিচেন অ্যাপ্লায়েন্সসহ নানা পণ্য উৎপাদন করছে ওয়ালটন। দেশের চাহিদা মিটিয়ে ওয়ালটনের এসব পণ্য যুক্তরাষ্ট্র, রোমানিয়া, ক্রোয়েশিয়া, হাঙ্গেরি, নেপাল, ভারত, ভুটান, শ্রীলঙ্কা, পূর্বতিমুর, উগান্ডা, ইয়েমেন, সুদান, নাইজারসহ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে।