কে এই সউদ শাকিল, যেখানে তিনি প্রথম পাকিস্থানি
ক্যারিয়ারে এ নিয়ে খেলছেন ৬ নম্বর টেস্ট। আগের ৫ টেস্টে একটি সেঞ্চুরি এবং ৫টি হাফ সেঞ্চুরি করে ফেলেছেন সউদ শাকিল। পাকিস্তানি মিডল অর্ডার এই ব্যাটারের মধ্যে কী লুকিয়ে রয়েছে, তা হয়তো এতদিন কেউ ভালোভাবে টের পায়নি। এবার যা পেয়েছে শ্রীলঙ্কা।
গলে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে নিজের ৬ষ্ঠ টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে বসেছেন পাকিস্তানি এই ব্যাটার। পাকিস্তানি ব্যাটাররা একে একে আউট হয়ে গেলেও লঙ্কান বোলারদের সামলে সউদ শাকিল ঠিকই অপরাজিত থেকে গেলেন ২০৮ রান নিয়ে।
প্রথম ইনিংসে শ্রীলঙ্কার করা ৩১২ রানের জবাবে পাকিস্তান সংগ্রহ করেছে ৪৬১ রান। ১৪৯ রানের বড় লিড নিতে সক্ষম হয়েছে বাবর আজমের দল। পাকিস্তান দলে সউদ শাকিলের অপরাজিত ২০৮ রান ছাড়াও ৮৩ রান সংগ্রহ করেন আগা সালমান। ৩৯ রান করেছেন শান মাসুদ।
ধনঞ্জয়া ডি সিলভার অসাধারণ সেঞ্চুরির ওপর (১২২ রান) ভর করে লঙ্কানদের সংগ্রহ দাঁড়িয়েছিলো ৩১২ রান। জবাব দিতে নেমে শুরুতে কিছুটা ব্যাকফুটে চলে যেতে হয় সফরকারী পাকিস্তানকে। ১ রান করে আউট হন ইমাম-উল হক। ১৯ রান করেন আবদুল্লাহ শফিকি। ৩৯ রান করেন শান মাসুদ এবং অধিনায়ক বাবর আজম আউট হয়ে যান ১৩ রান করে।
একদিকে যখন নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়ছিলো তখন পাকিস্তান ইনিংসের হাল ধরেন সউদ শাকিল। যদিও এর মধ্যে ১৭ রান করে বিদায় নেন সরফরাজ আহমেদ। কিন্তু আগা সালমান এবং সউদ শাকিলের জুটিটাই বড় স্কোর গড়তে সাহায্য করে পাকিস্তানকে। দু’জন মিলে ১৭৭ রানের বিশাল জুটি গড়েন।
১১৩ বল খেলে ৮৩ রান করে আউট হয়ে যান আগা সালমান। এরপর ব্যাট করতে নেমে নোমান আলি সঙ্গ দেন সউদ শাকিলকে। ৫২ রানের জুটি গড়ে আউট হন নোমান আলি। ৫৭ বলে ২৫ রান করেন তিনি। শাহিন শাহ আফ্রিদি ৯ রানে, নাসিম শাহ ৬ রানে এবং আবরার আহমেদ আউট হন ১০ রান করে।
শ্রীলঙ্কার হয়ে দুর্দান্ত বোলিং করেন রমেশ মেন্ডিস। ডানহাতি এই অফব্রেক বোলার একাই নেন ৫ উইকেট। ৩ উইকেট নেন প্রবাথ জয়সুরিয়া। ১টি করে উইকেট নেন কাসুন রাজিথা এবং বিশ্ব ফার্নান্দো।