শেয়ারবাজারে সবকটি সূচকের পতন
সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস শেয়ারবাজারে মূল্যসূচকের বড় উত্থান হলেও দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার সবকটি সূচকের পতন হয়েছে। সেই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। পাশাপাশি বড় হয়েছে দরপতনের তালিকা।
দিনের লেনদেন শেষে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকটি মূল্যসূচক কমলেও শুরুর দিকে সূচক ঊর্ধ্বমুখী ছিল। সেই সঙ্গে লেনদেনে বেশ ভালো গতি ছিল।
প্রথম আধাঘণ্টার লেনদেনে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ২০০ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়। সেই সঙ্গে দাম বাড়ার সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করে অর্ধডজন প্রতিষ্ঠান। কিন্তু লেনদেনের শেষদিকে এক শ্রেণির বিনিয়োগকারী শেয়ার বিক্রির চাপ বাড়িয়ে দেন।
এতে বেশকিছু প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার তালিকা থেকে দাম কমার তালিকায় চলে যায়। ফলে পতন হয় মূল্যসূচকের। সেই সঙ্গে কমে যায় লেনদেনের গতি।
এর আগে সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার সবকটি মূল্যসূচকের বড় উত্থান হয়। সূচকের এই উত্থানে মূল ভূমিকা পালন করে বিমা খাত। সিংহভাগ বিমা কোম্পানির শেয়ার দাম বাড়ার পাশাপাশি বেশ কয়েকটি দিনের দাম বাড়ার সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করে।
এ পরিস্থিতিতে সোমবার শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ বিমা কোম্পানির শেয়ার দাম বাড়ার মাধ্যমে। সেই সঙ্গে দাম বাড়ার সর্বোচ্চ সীমাও স্পর্শ করে কয়েকটি কোম্পানি। কিন্তু দুপুর সাড়ে ১২টার পর থেকে একের পর এক বিমা কোম্পানির শেয়ার দাম কমতে থাকে। যার প্রভাব পড়ে অন্য খাতের ওপরও।
এতে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে সব খাত মিলে ৮৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১১৩টির। আর ১৭২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
ফলে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসই-এক্স ৬ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ৩৬১ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ আগের দিনের তুলনায় দশমিক ৫৩ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৩৮৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ২ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ২০০ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
সবকটি মূল্যসূচক কমার পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও কমেছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৯৩২ কোটি ৭১ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৯৩৩ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন কমেছে ১ কোটি ৪ লাখ টাকা।
টাকার অঙ্কে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ফু-ওয়াং ফুডের শেয়ার। কোম্পানিটির ৭১ কোটি ৬৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগের ৬৪ কোটি ৭৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ২৯ কোটি ৩৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে আরডি ফুড।
এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- ওরিয়ন ইনফিউশন, লুব-রেফ বাংলাদেশ, ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স, অ্যাসোসিয়েটেড অক্সিজেন, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড, লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ এবং সি পার্ল বিচ রিসোর্ট।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ৬ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ২১৪টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৬৫টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৮০টির এবং ৬৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ১৫ কোটি ২৯ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ১৯ কোটি ৫৭ লাখ টাকা।