তাইওয়ানে রফতানি কমে সর্বোচ্চে
জুনে তাইওয়ানের রফতানি খাত উল্লেখযোগ্য হারে পতনের মুখোমুখি হয়েছে, যা ১৪ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। বছরপ্রতি ২৩ দশমিক ৪ শতাংশ কমে এখন তা ৩ হাজার ২০০ কোটি ডলারে পৌঁছেছে। খবর তাইপেটাইমস।
দেশটির পরিসংখ্যান বিভাগের মহাপরিচালক বিট্রিস সাইয়ের মতে, টানা দশম মাসের পতনকে চিহ্নিত করা হলো। তিনি বলেন, ‘ˆদশীয় ও আন্তর্জাতিক গ্রাহকরা মূলত সতর্কতামূলক ইনভেন্টরি পদ্ধতি বজায় রেখেছেন।’
রফতানি কমার জন্য বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতি এবং প্রধান কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর সুদহার বাড়ানোকে দায়ী করা হচ্ছে, যা প্রযুক্তিভিত্তিক গ্যাজেটের চাহিদাকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করেছে। তাইওয়ান, স্মার্টফোন, কম্পিউটার এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অ্যাপ্লিকেশনগুলোর জন্য ইলেকট্রনিকসের একটি প্রধান সরবরাহকারী হিসেবে পরিচিত।
অন্যদিকে প্লাস্টিক, রাসায়নিক, খনিজ ও টেক্সটাইল পণ্যগুলোর রফতানি ৩০-৫০ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে। রফতানি কমে যাওয়া ছাড়াও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণে স্থানীয় সংস্থাগুলো কৃষি ও শিল্পের কাঁচামাল, পাশাপাশি মূলধন সরঞ্জাম কেনা থেকে বিরত থাকতে বাধ্য হয়। ফলে আমদানিও ২৯ দশমিক ৯ শতাংশ কমে ২ হাজার ৬৩৬ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে।
যদিও গত মাসের তথ্যে ৫৯৬ কোটি ডলারের বাণিজ্য উদ্বৃত্ত দেখানো হয়েছে। যেখানে নিম্নভিত্তিক তুলনায় বছরে ৩০ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়েছে। তবে দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকের পরিস্থিতি মে মাসের পূর্বাভাসের চেয়ে খারাপ ছিল। দ্বিতীয় প্রান্তিকে রফতানি কমেছে ১৬ দশমিক ৯ শতাংশ এবং আমদানি কমেছে ২৪ শতাংশ।