৭ কাঁচা মরিচ ১০ টাকা
মোংলায় বৃহস্পতিবার (০৬ জুলাই ২০২৩) কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকা কেজি দরে। এর আগে বুধবার ছিল ৪০০ টাকা। আর মঙ্গলবার ছিল ৩০০ টাকা কেজি। তবে তার আগে দাম বেড়ে ৮০০ টাকায় ঠেকেছিল।
পৌরসভার প্রধান কাঁচা বাজারের এক বিক্রেতা বলেন, ৮০০ টাকা থেকে দাম কমে ৩০০ টাকায় নেমেছিল। এরপর আবার প্রতিদিন কেজিতে দাম বাড়ছে ১০০ টাকা করে। এখন ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি।
ক্রেতা শাহজাহান সিদ্দিকী বলেন, বাজারে হঠাৎ করে কাঁচা মরিচের দাম বাড়ছে। এক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসনের কোনো নজরদারি বা তদারকি নেই। ফলে বাজারের সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা বেপরোয়া হয়ে উঠছে।
ক্রেতা রিচার্ড হালদার বলেন, ৫০০ টাকা কাঁচা মরিচের কেজি, কিনবো কীভাবে? বাজারে আসা আলেয়া বেগম বলেন, তরকারি কোনো রকমে কিনেছি, কিন্তু দাম বেশি হওয়ায় কাঁচা মরিচ কিনতে পারিনি। শুকনা মরিচ দিয়ে রান্না করতে হবে।
মকবুল ইসলাম বলেন, কাঁচা মরিচ ৫০০ টাকা কেজি এখন। এর আগে বুধবার ছিল ৪০০ টাকা আর মঙ্গলবার ৩০০ টাকা। তারপরও কিনতে হয়। না কিনলে বাসায় চিল্লাপাল্লা করে। তাই ৫০ গ্রাম নিয়েছি।
এদিকে, এত বেশি দামে মরিচ কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন ক্রেতারা। মরিচ কেনা নিয়ে বাজারে ক্রেতারা ক্ষোভ জানাচ্ছেন। গৃহিণী নুরনাহার বেগম বলেন, ১০ টাকায় সাতটি মরিচ কিনেছি।
আবার দাম বেশি হওয়ায় মরিচ না কিনেই ফিরে যাচ্ছেন কেউ কেউ। বেশি দামে বিক্রি করায় লাভ বেশি হওয়ায় বিক্রেতাদের মুখে হাসি থাকলেও ক্রেতাদের মুখ মলিন।
অপরদিকে, সিন্ডিকেট করে মালামাল বিক্রি করায় কাঁচামাল ব্যবসায়ী সুমন হাওলাদার ও রফিকুল ইসলামের সদস্যপদ বাতিল করেছে মোংলা কাঁচা বাজার সমবায় সমিতি। সমিতির সাধারণ সম্পাদক কবির হোসেন বলেন, সুমন ও রফিকের বিরুদ্ধে সিন্ডিকেট করে কাঁচামাল বিক্রির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় মঙ্গলবার তাদের সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপংকর দাশ বলেন, শিগগির বাজার তদারকি করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।