ঘুরে দাঁড়িয়েছে শেয়ারবাজার

স্টাফ রিপোর্টার

এক কার্যদিবস দরপতনের পরেই আবার ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মিলেছে দেশের শেয়ারবাজারে। বুধবার (২১ জুন) বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার পাশাপাশি বেড়েছে মূল্যসূচক। সেইসঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের গতিও। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন বেড়ে ৬০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।

ডিএসই’র পাশাপাশি দেশের অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দাম বাড়ার পাশাপাশি বেড়েছে সবকটি মূল্যসূচক। সেইসঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের গতি।

এর আগে গত সপ্তাহে শেয়ারবাজারে লেনদেন হওয়া পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে চার কার্যদিবস দরপতন হয়। একইসঙ্গে কমে যায় লেনদেনের গতি। এ পরিস্থিতিতে চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার শেয়ারবাজারে মূল্যসূচকের মিশ্র প্রবণতা দেখা যায়।

তবে সোমবার সবকটি মূল্যসূচকের বড় উত্থান হয়। সেইসঙ্গে ৪০০ কোটি টাকার ঘরে নেমে যাওয়া লেনদেন বেড়ে ৫০০ কোটি টাকার ঘরে চলে আসে। কিন্তু মঙ্গলবার আবার শেয়ারবাজারে দরপতন হয়।

এ পরিস্থিতিতে বুধবার শেয়ারবাজারে লেনদেনের শুরুর দিকে বেশ অস্থিরতা দেখা যায়। প্রথম ঘণ্টার লেনদেনে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ে। কিন্তু প্রথম ঘণ্টার লেনদেন শেষ হতেই দাম বাড়ার তালিকা থেকে বেশকিছু প্রতিষ্ঠান দরপতনের তালিকায় চলে আসে। এতে মূল্যসূচকও ঋণাত্মক হয়ে পড়ে।

অবশ্য দুপুর ১২টার পর থেকে আবার বাজারের চিত্র বদলাতে থাকে। দরপতনের তালিকা থেকে একের পর এক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার তালিকায় নাম লেখায়। লেনদেনের শেষ পর্যন্ত এ ধারা অব্যাহত থাকে। এতে একদিকে দাম বাড়ার তালিকা বড় হয়, অন্যদিকে সবকটি সূচক বেড়ে দিনের লেনদেন শেষ হয়।

দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে সব খাত মিলে ১২৪ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। বিপরীতে ৪৯টির দাম কমেছে। আর ১৮১টির দাম অপরিবর্তিত।

এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৯ পয়েন্ট বেড়ে ছয় হাজার ৩১০ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ আগের দিনের তুলনায় ৩ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ৩৭০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ১ পয়েন্ট বেড়ে দুই হাজার ১৮৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

সবকটি মূল্যসূচক বাড়ার পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও বেড়েছে। বাজারটিতে দিনভর লেনদেন হয়েছে ৬৩০ কোটি ১৭ লাখ টাকার। আগের দিন লেনদেন হয় ৫৯০ কোটি ৯৯ লাখ টাকার। সেই হিসাবে লেনদেন বেড়েছে ৩৯ কোটি ১৮ লাখ টাকা।

টাকার অংকে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে জেমিনি সি ফুডের শেয়ার। কোম্পানিটির ১৮ কোটি ১৪ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের ১৩ কোটি ৪৮ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ১২ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স।

এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- ইস্টার্ন হাউজিং, ইয়াকিন পলিমার, পেপার প্রসেসিং, সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ, ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স, নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালস ও খান ব্রাদার পিপি ওভেন ব্যাগ।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ১০ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৯৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৭৪টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৩৮টির এবং ৮৬টির দাম অপরিবর্তিত। লেনদেন হয়েছে ৫৩০ কোটি ৬৫ লাখ টাকার। আগের দিন লেনদেন হয় ২০ কোটি ৪৩ লাখ টাকা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *