ব্যবসায়ীদের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে আলোচনা: জ্বালানি সংকট সমাধানে পদক্ষেপ চান

স্টাফ রিপোর্টার

প্রস্তাবিত বাজেটে দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক বাস্তবতাকে পাশ কাটিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদ এবং গবেষকরা। তাঁদের মতে, মূল্যস্ফীতি এবং জ্বালানি সংকটের মতো বিষয়গুলো স্বীকার করা হয়নি সরকারের পক্ষ থেকে। অন্যদিকে, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং জ্বালানি সংকট সমাধানে পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ব্যবসায়ী নেতারা।

রোববার (১২ জুন ২০২৩) রাজধানীর হোটেল লেকশোরো ‘জাতীয় বাজেট ২০২৩-২৪ ব্যবসায়ীদের প্রত্যাশা ও বাস্তবায়ন’ শীর্ষক এক সভায় ব্যবসায়ীরা এসব কথা বলেন। পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এতে প্রধান অতিথি ছিলেন। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান।

অনুষ্ঠানে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, রাজস্ব বৃদ্ধি এবং বাজেট বাস্তবায়নে কিছু সংস্কার প্রয়োজন। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর আহরণের সক্ষমতা বাড়ানো অন্যতম। এ কারণে এসব আলোচনায় অর্থ মন্ত্রণালয় এবং এনবিআরের কর্মকর্তাদের থাকা প্রয়োজন। কারণ তাঁরা এসব বিষয় নিয়ে কাজ করেন।

আলোচনায় পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, সামষ্টিক অর্থনীতিতে অস্থিতিশীলতা চলছে। স্থিতিশীলতায় ফিরিয়ে আনতে পদক্ষেপ নিতে হবে সরকারকে। সামষ্টিক অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা থাকলে মূল্যস্ফীতি এতটা বাড়ত না। মূল্যবৃদ্ধির কারণে এখন সাধারণ মানুষকে ভুগতে হচ্ছে।

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন,  বর্তমানে দেশ একটি সংকটময় মুহূর্তের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু বাজেটে  কোথাও এ সংকটকে  স্বীকার করা হয়নি। সরকারের মধ্যে হয়তো এ রকম একটা ভাবনা রয়েছে, সংকট চলে যাবে। বলা হচ্ছে, ১৫ দিন পর বিদ্যুতের সংকট চলে যাবে। কিন্তু কোন যুক্তিতে চলে যাবে? আমদানি করা কয়লায় পায়রা চলবে সাড়ে তিন দিন আর রামপাল আড়াই দিন। তিনি বলেন, সংকট সমাধানের সহজ পন্থা থেকে বেরিয়ে সংকটের গভীরে গিয়ে কাজ করতে হবে।

এফবিসিসিআইর সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও মূল্যস্ফীতি বড় ইস্যুতে পরিণত হয়েছে। এসব বিষয়ে সরকারকে কাজ করতে হবে। মূল্যস্ফীতি কমাতে হবে। গ্রামাঞ্চলের রাস্তাঘাট পাকা হয়েছে, তবুও কেন বাজেটে সড়ক ও যোগাযোগ খাতে বেশি বরাদ্দ রাখতে হলো। এখন প্রয়োজন বিদ্যুৎ ও জ্বালানিতে বরাদ্দ বাড়ানো।

এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম বলেন, দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ অনেক কমেছে। পৃথিবীর অনেক দেশেই একই অবস্থা। তবে সরকার সবকিছু সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *