৫০ কোটি টাকার জিরা আমদানি ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে

স্টাফ রিপোর্টার

সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে জিরা আমদানি কমেছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরের ১১ মাসে প্রায় ৫০ কোটি টাকার জিরা আমদানি হয়েছে, যা আগের অর্থবছরের তুলনায় প্রায় এক হাজার টন কম। ব্যবসায়ী ও আমদানিকারকরা বলছেন, ভারতে সরবরাহ কমে যাওয়ায় জিরা আমদানি কমেছে।

অন্যদিকে আমদানি কমে যাওয়ায় সম্প্রতি দেশের বাজারে জিরার দাম বেড়েছে ব্যাপক হারে। দুই থেকে আড়াই মাসের ব্যবধানে কেজিপ্রতি অন্তত ৩৫০-৪০০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে মসলাপণ্যটি।

ভোমরা শুল্কস্টেশনের রাজস্ব শাখা থেকে জানা গেছে, ২০২১-২২ অর্থবছরের জুলাই-মে পর্যন্ত এ বন্দর দিয়ে জিরা আমদানি হয়েছে ৩ হাজার ৬৩৯ টন। যার আমদানি মূল্য ছিল ৫৯ কোটি ৫ লাখ টাকা। অন্যদিকে ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই-মে পর্যন্ত ১১ মাসে জিরা আমদানি হয়েছে ২ হাজার ৫৫৯ টন। যার আমদানি মূল্য ৪৯ কোটি ৪২ লাখ টাকা। সে হিসাব অনুযায়ী এ বন্দর দিয়ে জিরা আমদানি কমেছে ১ হাজার ৮০ টন।

ভোমরা বন্দরে মসলা আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স রাফসান এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. আবু হাসান জানান, অন্য যেকোনো সময়ের তুলনায় তার প্রতিষ্ঠানে জিরা আমদানি কমেছে। ভারতে সরবরাহ কমে যাওয়ায় মূলত আমদানিতে নিম্নমুখী প্রবণতা তৈরি হয়েছে। তাছাড়া ডলার সংকটের পাশাপাশি এলসি জটিলতাও আমদানি কমে যাওয়ার পেছনে বড় ভূমিকা পালন করেছে। অন্যদিকে সরবরাহ অপ্রতুল হওয়ায় ভারতের বাজারে জিরার দামও বেড়েছে বলে জানান এ ব্যবসায়ী। তিনি বলেন, ‘‌তিন মাস আগেও যে জিরা আমদানিতে খরচ পড়েছে ৪৫০-৫০০ টাকা, তা এখন ৮০০-৮৫০ টাকা।’

সাতক্ষীরা জেলা শহরের সুলতানপুর বড় বাজারের পাইকারি মসল্যা বিপণন প্রতিষ্ঠান মেসার্স মসলা ভাণ্ডারের পরিচালক আবুল কাসেম জানান, সম্প্রতি সব ধরনের মসলার দাম বেড়েছে। দুই থেকে আড়াই মাসের ব্যবধানে আমদানীকৃত জিরার দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ৩৫০-৪০০ টাকা। মার্চে যে জিরা পাইকারি বিক্রি হয়েছে ৫৫০-৬০০ টাকা দরে, তা এখন ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকা। আড়াই থেকে তিন মাসের ব্যবধানে প্রায় দ্বিগুণ দাম বেড়েছে।

ভোমরা শুল্কস্টেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কাস্টমসের ডেপুটি সহকারী কমিশনার নেয়ামুল হাসান জানান, মসলাপণ্যের মধ্যে জিরা আমদানিতে সরকারের রাজস্ব আয় হয় উল্লেখযোগ্যহারে। কিন্তু সম্প্রতি পণ্যটির আমদানি কমে যাওয়ায় রাজস্ব আহরণের পরিমাণও কমেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *