পোশাককর্মীদের আর্থিক অন্তর্ভুক্তি উন্নয়নে কাজ করবে মিত্র ফিনটেক
বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) পোশাককর্মীদের আর্থিক কল্যাণ বৃদ্ধির লক্ষ্যে মিত্র ফিনটেক লিমিটেডের সঙ্গে অংশীদারত্ব চুক্তি করছে। এ চুক্তির মাধ্যমে কর্মীদের ডিজিটাল আর্থিক সমাধান প্রদান করা হবে।
বুধবার (১৭ মে) রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে সমঝোতা স্মারক সই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএ’র পরিচালক নীলা হোসনে আরা।
অংশীদারত্বের বিষয়ে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, পোশাকখাতে শ্রমিক ভাই-বোনদের জন্য আর্থিক কল্যাণ আরও বাড়াতে আমরা মিত্রর সঙ্গে সহযোগিতা করতে পেরে আনন্দিত। এই উদ্যোগ শ্রমিক ভাই-বোন ও তাদের পরিবারের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। আমরা তাদের অর্থনৈতিক কল্যাণে সহযোগিতা প্রদান করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
মিত্র ফিনটেক বাংলাদেশভিত্তিক আর্থিক কল্যাণের একটি প্ল্যাটফর্ম, যেটি পে-রোল সফটওয়্যারের মাধ্যমে বেতন ব্যবস্থাপনায় প্রতিষ্ঠানকে সহায়তা করে। পাশাপাশি আর্নড ওয়েজ অ্যাক্সেস (ইডব্লিউএ) কর্মচারী সুবিধার মাধ্যমে কর্মীদের কল্যাণ এবং উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করে।
বিজিএমইএ এবং মিত্র ফিনটেকের মধ্যে অংশীদারত্ব বাংলাদেশের পোশাকখাতের শ্রমিকদের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব এবং দেশের টেকসই উন্নয়নে অবদান রাখাবে। বেতন প্রদানের আগেই কর্মীরা যদি অর্জিত বেতনে (আর্নড স্যালারি) অ্যাক্সেস করার সুবিধা পায়, তাহলে তা তাদের আর্থিক চাপ কমাতে পারে। এর ফলে কর্মীদের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পায় এবং কর্মস্থল পরিবর্তনের প্রবণতা কমে। এটি শোভন কাজ এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন, বৈষম্য হ্রাস এবং শিল্প, উদ্ভাবন ও অবকাঠামো উন্নয়নের সামগ্রিক লক্ষ্যে অবদান রাখতে পারে। এগুলো সবই জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) অংশ।
আর্নড ওয়েজ অ্যাক্সেস (ইডব্লিউএ) পরিষেবা নিশ্চিত করে যে কর্মীদের কষ্টার্জিত অর্থে কর্মীদের অবিচ্ছিন্ন অ্যাক্সেস রয়েছে। এর জন্য তাদের আর্থিক বাধ্যবাধকতা পূরণ করার প্রয়োজনীয়তা নেই। যা শেষ পর্যন্ত কর্মীদের উৎপাদনশীলতা এবং কর্মক্ষমতা বাড়াতে পারে।
মিত্র ফিনটেক লিমিটেডের সিইও কিশওয়ার হাশেমী বলেন, পোশাকখাতে কর্মীদের ডিজিটাল আর্থিক সমাধান প্রদানের জন্য বিজিএমইএ’র সঙ্গে অংশীদার হতে পেরে আমরা সম্মানিতবোধ করছি।