৭৪ শতাংশের ভাগ দেবে না ইসলামী ব্যাংক
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের প্রতিষ্ঠান ইসলামী ব্যাংক ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত বছরে বড় মুনাফা করলেও তার বেশিরভাগ অংশ পাওয়া থেকে বঞ্চিত হবেন বিনিয়োগকারীরা।
কারণ প্রতিষ্ঠানটি যে মুনাফা করেছে তার অল্প অংশ লভ্যাংশ হিসেবে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
অর্থাৎ কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা লভ্যাংশ হিসেবে প্রতিটি শেয়ারের বিপরীতে নগদ এক টাকা করে পাবেন। যা সমাপ্ত হিসাব কোম্পানিটির মোট মুনাফার ২৬ শতাংশের সমান। এ হিসেবে মুনাফার ৭৪ শতাংশের ভাগ পাওয়া থেকে বঞ্চিত হবেন বিনিয়োগকারীরা।
লভ্যাংশ ঘোষণার পাশাপাশি কোম্পানিটি চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত সময়ের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এই প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী কোম্পানিটির মুনাফা আগের বছরের তুলনায় কমেছে।
কোম্পানিটির কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রোববার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) থেকে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
লভ্যাংশের বিষয়ে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের নেওয়া সিদ্ধান্ত শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদনের জন্য বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ২২ জুন। আর রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ২২ মে।
সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) করেছে ৩ টাকা ৮৩ পয়সা। এই মুনাফার ওপর ভিত্তি করেই কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি ১ টাকা করে লভ্যাংশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সমাপ্ত হিসাব বছরে শেয়ারপ্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৪৩ টাকা ২১ পয়সা।
ডিএসই জানিয়েছে, লভ্যাংশ ঘোষণার কারণে আজ কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বাড়ার ক্ষেত্রে কোনো সার্কিট ব্রেকার থাকবে না। অর্থাৎ শেয়ার দাম যতখুশি বাড়তে পারবে। তবে ফ্লোর প্রাইসের নিচে শেয়ার দাম নামতে পারবে না।
এদিকে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত সময়ে কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি মুনাফা করেছে ৩৫ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয় ৫২ পয়সা।
