শীর্ষ রফতানিকারক দেশগুলোয় চড়া চালের বাজার

স্টাফ রিপোর্টার

চলতি সপ্তাহে শীর্ষ রফতানিকারক দেশগুলোয় ঊর্ধ্বমুখী ছিল চালের বাজার। সব দেশেই শস্যটির রফতানি মূল্য বেড়েছে। ঊর্ধ্বমুখী চাহিদা মুদ্রার বিনিময় মূল্যবৃদ্ধি, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অস্থিরতা দাম বাড়ার অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। খবর বিজনেস রেকর্ডার।

ভারতীয় চালের রফতানি মূল্য কিছুটা বেড়েছে। ভারতীয় ৫ শতাংশ ভাঙা সেদ্ধ জাতের চাল চলতি সপ্তাহে টনপ্রতি ৩৮৩-৩৮৯ ডলারে রফতানি হয়েছে। গত সপ্তাহে একই চাল রফতানি হয়েছে টনপ্রতি ৩৮০-৩৮৯ ডলারে। ঊর্ধ্বমুখী চাহিদা ও রুপির বিনিময় মূল্য বৃদ্ধিকেই দাম বাড়ার প্রধান কারণ হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।

ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় অন্ধ্রপ্রদেশের কাকিনাডাভিত্তিক এক রফতানিকারক বলেন, ‘‌কয়েক দিন ধরে সব ধরনের কৃষিপণ্যের দাম লক্ষণীয় মাত্রায় বেড়েছে। বিষয়টি চালের দাম বাড়াতে সহায়তা করেছে।’

ভিয়েতনামে ৫ শতাংশ ভাঙা চাল রফতানি হচ্ছে টনপ্রতি ৪৬০ ডলারে। গত সপ্তাহেও একই দামে দেশটি চাল রফতানি করেছে। অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক উত্তেজনার কারণে ভিয়েতনামে আগামী সপ্তাহগুলোতেও ঊর্ধ্বমুখী থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ভিয়েতনাম ফুড অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান নিগুয়েন গক নাম বলেন, ‘‌স্বল্পমেয়াদে চালের দাম ঊর্ধ্বমুখীই থাকবে। কারণ রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণে বেশির ভাগ দেশ খাদ্যপণ্যের মজুদ বাড়াচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে দেশগুলো বেশি দামে হলেও চাল কিনছে।’

ব্যবসায়ীরা বলছেন, চলতি বছর ভিয়েতনাম ৬৫-৬৭ লাখ টন চাল রফতানি করতে সক্ষম হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গত বছর রফতানির পরিমাণ ছিল ৭১ লাখ টন। অর্থাৎ এবার রফতানি কিছুটা কমতে পারে।

এদিকে থাইল্যান্ড ৫ শতাংশ ভাঙা চাল রফতানি করছে টনপ্রতি ৪৮০-৪৮২ ডলারে। গত সপ্তাহে রফতানি মূল্য ছিল ৪৭৫-৪৮২ ডলার। ব্যাংককভিত্তিক এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘‌স্থানীয় বাজারে চালের দাম বেশি। ধান সংগ্রহ মৌসুম শেষ হতে চলায় সরবরাহ কিছুটা কমতে শুরু করেছে।’

চলতি বছরের জন্য চাল রফতানির লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়েছে থাইল্যান্ড। নতুন করে ৮০ লাখ টন রফতানির পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে দেশটির সরকার। এর আগে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭৫ লাখ টন।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ‘‌ বৈশ্বিক অর্থনীতি পুনরুজ্জীবিত হচ্ছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে চালের চাহিদা। এমন পরিস্থিতিতে বাড়তি উৎপাদন দেশটিকে রফতানিতে সুবিধা দিচ্ছে। তবে মুদ্রার বিনিময় হারে অস্থিরতার কারণে প্রতিযোগিতামূলক বাজারে দেশটি পিছিয়ে পড়তে পারে বলেও মনে করছেন তারা।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *