ব্রাজিলের তুলা উৎপাদন খাতে প্রবৃদ্ধি
ব্রাজিলের তুলা উৎপাদন খাতে প্রবৃদ্ধি বজায় রয়েছে। একই সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধের জের ধরে বাড়তি আমদানি শুল্কের কারণে যুক্তরাষ্ট্র থেকে তুলা আমদানি কমিয়ে দিয়েছে চীন।
বিপরীতে চীনের বাজারে বেড়েছে ব্রাজিলীয় তুলার চাহিদা। এ দুই কারণে চলতি বছর শেষে ব্রাজিলের তুলা রফতানিতে বড় ধরনের উল্লম্ফন দেখা যেতে পারে। বছর শেষে দেশটি থেকে পণ্যটির রফতানি ৩২ শতাংশ বাড়তে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে মার্কিন কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) ফরেন এগ্রিকালচারাল সার্ভিস। খবর এগ্রিমানি।
তুলা রফতানিকারক দেশগুলোর তালিকায় ব্রাজিলের অবস্থান বিশ্বে দ্বিতীয়। ইউএসডিএর প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৬ সালে ব্রাজিল থেকে সব মিলিয়ে ২৭ লাখ ৮৯ হাজার বেল (প্রতি বেলে ৪৮০ পাউন্ড) তুলা রফতানি হয়েছিল। গত বছর দেশটি থেকে তুলা রফতানি ৪৯ দশমিক ৬৬ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় ৪১ লাখ ৭৪ হাজার বেলে।
চলতি বছর শেষে ব্রাজিল থেকে পণ্যটির রফতানি ৫৫ লাখ বেলে দাঁড়াতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি, যা আগের বছরের তুলনায় ৩১ দশমিক ৭৭ শতাংশ বেশি। সেই হিসাবে, এক বছরে ব্রাজিলের তুলা রফতানি ১৩ লাখ টনের বেশি বাড়তে পারে।
ব্রাজিলের তুলা রফতানি বৃদ্ধির পেছনে কারণ হিসেবে বাড়তি উৎপাদনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। ইউএসডিএর পূর্বাভাস অনুযায়ী, বিশ্বের চতুর্থ শীর্ষ তুলা উৎপাদনকারী দেশ ব্রাজিলে চলতি বছর পণ্যটির উৎপাদন দাঁড়াতে পারে ১ কোটি বেলে, যা আগের বছরের তুলনায় ৮ দশমিক ৪৬ শতাংশ বেশি। ২০১৭ সালে দেশটিতে ৯২ লাখ ২০ হাজার বেল তুলা উৎপাদন হয়েছিল। ব্রাজিলের ইতিহাসে এটাই তুলা উৎপাদনের সর্বোচ্চ রেকর্ড।
এদিকে বাণিজ্যযুদ্ধের কারণে ২০১৮-১৯ মৌসুমে চীনের বাজারে ব্রাজিলীয় তুলার চাহিদা বেড়ে ৪০ লাখ বেল ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে ইউএসডিএ। একদিকে রেকর্ড সর্বোচ্চ উৎপাদন, অন্যদিকে চীনে বাড়তি চাহিদা ব্রাজিলের তুলা রফতানি খাতকে প্রত্যাশার তুলনায় আরো বেশি চাঙ্গা করতে পারে বলে মনে করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা।