এস্পানিওলকে ৪-০ গোলে হারালো বার্সেলোনা

সমালোচনার জবাব বুঝি এভাবেই দিতে হয়! যেই মেসি জিতেছেন পাঁচটি ব্যালন ডি’অর সেই মেসিই এবার ব্যালনের লিস্টে ছিলেন পাঁচ নাম্বারে। নিজের বা পায়ের জাদুতে এক ম্যাচেই সবাইকে চুপ করে দিলেন মেসি।

কাতালান ডার্বিতে এস্পানিওলকে ৪-০ গোলে হারালো বার্সেলোনা। ৪ গোলের দুটিই করেছেন মেসি এবং দুটিই এসেছে দর্শনীয় দুই ফ্রি কিক থেকে। অপর দুই গোল করেন লুইস সুয়ারেজ ও দেম্বেলে।

দেম্বেলে, সুয়ারেজ ও মেসিকে নিয়ে গড়া আক্রমণভাগের সামনে প্রথমার্ধেই মুখ থুবড়ে পড়ে এস্পানিওল। ১৭ মিনিটে গোলের খাতা খুলেন মেসি। প্রায় ২৭ গজ দূর থেকে বা পায়ের নজরকাড়া এক ফ্রি কিকে বার্সাকে ০-১ ব্যবধানে এগিয়ে দেন। এ গোলের ফলে ছোট্ট একটি মাইলফলকও স্পর্শ করেছেন মেসি। প্রথম ফুটবলার হিসেবে লা লিগায় টানা ১৩টি মৌসুম ১০+ গোল করার রেকর্ড গড়লেন তিনি।

২৬ মিনিটে আবারো সেই মেসি ম্যাজিক তবে এবার নিজে গোল না করিয়ে ওসমান দেম্বেলেকে দিয়ে গোল করান। ডান পায়ের কোনাকুনি শটে চোখ ধাঁধানো একটি গোল করেন ফরাসি এ ফরোয়ার্ড। আগের ম্যাচে এটলেটিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে তার গোলেই পরাজয় এড়িয়েছিল বার্সা।

প্রথমার্ধে মেসি আরও একটি গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন ৩৬ মিনিটে। রাকিতিচের হেড গোলরক্ষক রুখে দিলে রিবাউন্ডে মেসির হেড গোলবারে লেগে ফিরে আসে।

প্রথমার্ধের একদম শেষ মিনিটেও একটি গোল পায় বার্সা। ৪৫ মিনিটে লুইস সুয়ারেজের প্রায় জিরো এঙ্গেল থেকে এস্পানিওল গোলরক্ষকের পায়ের ফাঁকা দিয়ে বল জালে জড়ালে ০-৩ ব্যবধানে এগিয়ে যায় বার্সা।

বিরতি থেকে ফিরেও চলে মেসি শো। ৬৫ মিনিটে আরও একবার বার্সার হয়ে গোল করেন মেসি। আবারো সেই ফ্রি কিক থেকে। চলতি বছরে ফ্রি কিক থেকে এটি মেসির দশম গোল। ক্যারিয়ারে এক ম্যাচে দ্বিতীয়বার ফ্রি কিক থেকে জোড়া গোল করলেন এ যাদুকর। ১১ গোল করে লা লিগায় যুগ্মভাবে ক্রিস্টিয়ান স্টুয়ানির সঙ্গে শীর্ষে উঠে আসলেন মেসি।

এস্পানিওলও বার্সার রক্ষণ দুর্গ ভেঙে ৭২ মিনিটে গোল করে বসে। কিন্তু দুতার্তের গোল ভিএআরের সাহায্যে অফসাইডের কারণে বাতিল হয়। ম্যাচে আর কোনো গোল না হলে ০-৪ ব্যবধানের বড় জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে বার্সা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *