গরু ও দেশি মুরগির দামে ব্যবধান ১০০ টাকা
রংপুরের বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার ও পাকিস্তানি সোনালী মুরগির দাম কমলেও বেড়েছে দেশি মুরগির দাম। সেইসঙ্গে বেড়েছে পেঁপে, গোলবেগুন, শসা, ধনেপাতা ও আদার দাম। অপরিবর্তিত রয়েছে ডিম, মাছ, চাল, ডাল ও তেল।
মঙ্গলবার (২৮ মার্চ ২০২৩) রংপুর নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে ব্রয়লার মুরগির কেজি ২৫০-২৬০ থেকে কমে ১৮০-২০০ টাকা, পাকিস্তানি মুরগি ৩৫০-৩৬০ থেকে কমে ৩২০-৩৩০ টাকা এবং পাকিস্তানি লেয়ার ৩১০-৩৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে দেশি মুরগি ৫৪০-৫৫০ থেকে বেড়ে ৫৬০-৫৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে গরুর মাংস গত সপ্তাহের মতো ৬৭০-৭০০ টাকা এবং খাসির মাংস ৯০০-১০০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মুলাটোল আমতলা বাজারের মুরগি বিক্রেতা আল-আমিন বলেন, মুরগির বাজার চড়া থাকায় বিক্রি কম ছিল। এখন দাম কিছুটা কমে যাওয়ায় বিক্রি বেড়েছে। তবে রমজানে চাহিদার তুলনায় দেশি মুরগির সরবরাহ কম। এ কারণে দাম বাড়ছে।
সবজি বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্র্রতি কেজি টমেটো ৩৫-৪০ টাকা, গাজর আগের মতোই ২৫-৩০ টাকা, চালকুমড়া ৩৫-৪০ টাকা, শসা ২৫-৩০ থেকে বেড়ে ৪০ টাকা, চিকন বেগুন আগের দামেই ২০-২৫ টাকা, গোল বেগুন ৩৫-৪০ থেকে বেড়ে ৫০-৬০ টাকা, পেঁপে ২৫-৩০ থেকে বেড়ে ৪০ টাকা, উস্তে ৫৫-৬০ টাকা থেকে বেড়ে ৭০ টাকা, বরবটি ৭০-৮০ টাকা, লেবু প্রতি হালি ২৫-৩০ টাকা, কাঁচামরিচ ৭০-৮০ টাকা, শুকনা মরিচ আগের মতোই ৪৫০-৫০০ টাকা, প্রতিপিস লাউ আকারভেদে ৪০-৫০ টাকা, ধনেপাতা ৫০-৬০ টাকা থেকে বেড়ে ৮০-১০০ টাকা, কাঁচকলা হালি ২৫-৩০ টাকা, প্রতি কেজি মিষ্টি কুমড়া ৩০-৩৫ টাকা, শিম ৩৫-৪০ ও বাঁধাকপি ১৫ টাকা পিস বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া আদা ১৩০-১৪০ টাকা থেকে বেড়ে ১৫০-১৬০ টাকা এবং রসুন ৮০-১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে সবধরনের শাকের আাঁটি পাওয়া যাচ্ছে ১০-১৫ টাকায়। এছাড়া সজনে ডাটা ১৩০-১৪০ টাকা থেকে কমে ৮০-১০০ টাকা, মিষ্টি আলু আগের মতোই ৩৫-৪০ টাকা এবং পটোল ৫৫-৬০ টাকা থেকে বেড়ে ৭০-৮০ টাকা ও ঢেড়স ৭০-৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
খুচরা বাজারে কার্ডিনাল আলু গত সপ্তাহের চেয়ে ৪-৫ টাকা বেড়ে ২০ টাকা এবং শিল ও ঝাউ আলু ৩০-৩৫ টাকা কেজি দরে পাওয়া যাচ্ছে।
খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজ ৩৫ টাকা এবং আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সিটি বাজারের সবজি বিক্রেতা আলী হোসেন বলেন, সপ্তাহের ব্যবধানে সবজির দাম বেড়েছে। বিশেষ করে রমজান উপলক্ষে গোলবেগুন, শসা, টমেটোর দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
সিটি বাজারে মুরগি কিনতে আসা আহসান হাবীব বলেন, ব্রয়লার মুরগির দাম কিছুটা কমায় স্বস্তি মিলছে। তবে সবজিসহ অন্যান্য জিনিসের যে দাম তাতে আমাদের মতো মধ্যবিত্তদের উপায় কী? বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন ১৮৭ টাকা এবং দুই লিটার ৩৭৪ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেল ১৬০-১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
চালের বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, খুচরা বাজারে স্বর্ণা চাল গত সপ্তাহের মতোই ৫০-৫২ টাকা, পাইজাম ৫৪-৫৫ টাকা, বিআর-২৮ ৬০-৬৫ টাকা, মিনিকেট ৭৫-৭৮ টাকা ও নাজিরশাইল ৮৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে খোলা চিনি গত সপ্তাহের মতোই ১১৫-১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্যাকেট আটা ৬৫ টাকা ও খোলা আটা ৫৮-৬০ টাকা, ছোলা বুট ৯৫-১০০ টাকা এবং প্যাকেট ময়দা ৭৮-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে আগের মতোই মসুর ডাল (মাঝারি) ১১০-১২০ টাকা, চিকন ১৩০-১৪০ টাকা, মুগডাল ১৪০-১৫০ টাকা এবং বুটডাল ৯৫-১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারে পোলট্রি মুরগির ডিমের হালি ৪৪-৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, আকারভেদে রুইমাছ ২৫০-৩০০ টাকা, মৃগেল ২২০-২৫০ টাকা, কারফু ২০০-২২০ টাকা, পাঙ্গাস ১৫০-১৬০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০-১৬০, কাতল ৪০০-৪৫০ টাকা, বাটা ১৬০-১৮০ টাকা, শিং ৩০০-৪০০ টাকা, সিলভার কার্প ১৫০-২৫০ টাকা এবং গছিমাছ ৬০০-৬৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।