ওয়ালটন ডে: গাজীপুরে হেড কোয়ার্টার্সে দিনব্যাপী নানা আয়োজন

স্টাফ রিপোর্টার

২০ মার্চ দিনব্যাপী নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হেড কোয়ার্টার্সে ‘ওয়ালটন ডে’ উদযাপন করেছে এই মাল্টিন্যাশনাল ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ডের বিশাল পরিবার। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিনটি জাতীয় পতাকা ও ওয়ালটন পতাকা উত্তোলন, শ্বেত কপোত অবমুক্তকরণ, কেক কাটা, আনন্দ শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা, বৃক্ষরোপণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ বর্ণাঢ্য নানা আয়োজনে উদযাপিত হয়।

সকাল ১০টায় হেড কোয়ার্টার্সে জাতীয় ও ওয়ালটন পতাকা উত্তোলন এবং বেলুন উড়িয়ে ‘ওয়ালটন ডে’ উদযাপন অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর (ডিএমডি) আলমগীর আলম সরকার। কাটা হয় ‘ওয়ালটন ডে-২০২৩’ শিরোনামের বিশালাকার কেক।

ওয়ালটন হাই-টেকের এমডি ও সিইও গোলাম মুর্শেদ যুক্তরাষ্ট্র থেকে অনলাইনে যুক্ত হয়ে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন। ওয়ালটনের আজকের এই অগ্রযাত্রায় যারা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।

হেড কোয়ার্টার্সে বের করা হয় বিশাল আনন্দ শোভাযাত্রা। এতে পাঁচ শতাধিক সদস্য অংশ নেন। শোভাযাত্রাটি হেড কোয়ার্টার্সের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। শোভাযাত্রা শেষে ওয়ালটন পরিবারের সদস্যরা একে অপরের সঙ্গে ঈদের দিনের মতো পরস্পরকে কোলাকুলি করে আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন। অনুষ্ঠিত হয় বিশেষ আলোচনা সভা। হেড কোয়ার্টাস প্রাঙ্গণে রোপণ করা হয় বিভিন্ন প্রজাতির বিশেষ ধরনের চারাগাছ। হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

‘ওয়ালটন ডে’ উপলক্ষে ডিএমডি আলমগীর আলম সরকার ছাড়াও শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ইয়াছির আল ইমরান, তাপস কুমার মজুমদার, মাহফুজুর রহমান, শাহীনুর সুলতানা রেখা, নিজাম উদ্দিন মজুমদার, এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর রফিকুল ইসলাম ও মহসিন আলী মোল্লাসহ প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

ইয়াছির আল-ইমরান তার বক্তব্যে বলেন, ওয়ালটন ব্র্যান্ড বর্তমানে এক বিস্ময়ের নাম। তিনি সবাইকে মিলেমিশে কাজ করে ওয়ালটনকে আরও সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানান।

উল্লেখ্য, সারা দেশে মহাআড়ম্বরে দিবসটি উদযাপন করেছেন ওয়ালটন পরিবারের সদস্যরা। হেড কোয়ার্টার্সের পাশাপাশি রাজধানীর কর্পোরেট অফিস ও মিরপুর কমপ্লেক্সসহ সারা দেশের সব সেলস ও সার্ভিস আউটলেটগুলোতে উদযাপিত হয়েছে দিনটি। দিবসটি উপলক্ষে সকালে সারা দেশে একযোগে র‌্যালি করা হয়। দেশব্যাপী ওয়ালটনের সেলস ও সার্ভিস আউটলেটগুলোতে দেখা গেছে বর্ণিল সাজ ও আনন্দমুখর পরিবেশ। গ্রাহক ও শুভানুধ্যায়ীদের নিয়ে ছিল নানা আয়োজন।

১৯৯৯ সালের ২০ মার্চ যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশের ইলেকট্রনিক্স, ইলেকট্রিক্যাল, আইসিটি, হোম অ্যান্ড কিচেন অ্যাপ্লায়েন্স এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল সলিউশনস পণ্য উৎপাদনের পথিকৃৎ ওয়ালটন। এখন প্রতিষ্ঠানটির বিরচণ বিশ্বজুড়ে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *