বিংয়ের দৈনিক ব্যবহারকারী ১০ কোটি ছাড়িয়েছে
চ্যাটজিপিটিযুক্ত বিং সার্চের নতুন ভার্সনে দৈনিক সক্রিয় ব্যবহারকারী ১০ কোটি ছাড়িয়েছে। সম্প্রতি সার্চ ইঞ্জিনটির মালিকানা প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। খবর এনগ্যাজেট।
মাইক্রোসফটের ‘মডার্ন লাইফ, সার্চ অ্যান্ড ডিভাইসেস’ বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট ইউসুফ মেহদি বলেন, ‘এখনো এটি এ খাতের কেবল ছোট একটি অংশ। মাইক্রোসফট সে বিষয়ে অবগত।’
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর আপডেটেড ভার্সন বাজারে আসার আগে সার্চ ইঞ্জিন হিসেবে বিংয়ের তেমন জনপ্রিয়তা ছিল না। তবে সার্চ ইঞ্জিনটির পরবর্তী প্রজন্মের সংস্করণ চালুর পর পুরনো-নতুন সব ধরনের ব্যবহারকারী এটিতে ঝুঁকছে বলে প্রকাশিত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
ইউসুফ মেহদি বলেন, ‘বিংয়ের দৈনিক ব্যবহারকারীর এক-তৃতীয়াংশই সার্চ ইঞ্জিনটিতে নতুন।’ ব্যবহারকারীদের প্রতিনিয়ত এ অংশগ্রহণ সার্চ ইঞ্জিন খাতে নতুন উদ্ভাবন ও নতুন অভিজ্ঞতা দেবে বলেও জানান তিনি।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, সার্চ ইঞ্জিনটির ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি ব্যবহারকারীর সম্পৃক্ততা বৃদ্ধির বিষয়টিও উপভোগ করছে মাইক্রোসফট। যেখানে তুলনামূলক বেশি লোকজন সার্চে অংশ নিচ্ছেন। এ বিশেষ অর্জনের পেছনে দুটি কারণকে কৃতিত্ব দিয়েছে কোম্পানিটি। প্রথমটি হলো এজ ব্রাউজারের ব্যবহার বেড়ে যাওয়া। ব্রাউজারে বিংয়ের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবস্থা যোগ করায় এ পরিবর্তন এসেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
প্রতিষ্ঠানটি জানায়, বিংয়ের সার্চ ইঞ্জিনে যোগ করা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মডেল প্রমিথিউস সার্চ রেজাল্টে তুলনামূলক প্রাসঙ্গিক উত্তর দেখায়। এ কারণে মানুষের মধ্যে এর ব্যবহার প্রবণতা বাড়ছে। বিংয়ের প্রিভিউ সংস্করণ ব্যবহারকারীদের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ দৈনিক ভিত্তিতে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব পেতে এ চ্যাটবট ব্যবহার করছে। প্রতি সেশনে গড়ে তিনটি করে চ্যাটিং বা কথোপকথন দেখতে পেয়েছে মাইক্রোসফট। নতুন সংস্করণের বিং চালুর পর থেকে এতে এখন পর্যন্ত সাড়ে চার কোটির বেশি কথোপকথন হয়েছে। আর সব চ্যাটিং সেশনের ১৫ শতাংশ ব্যবহারকারীই নতুন কনটেন্ট তৈরির উদ্দেশ্যে বিং ব্যবহারের কথা প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
মোবাইল সংস্করণে বিংয়ের এআই চ্যাটবট চালুর পর থেকে সার্চ ইঞ্জিনের জনপ্রিয়তা নতুন মাত্রা পেয়েছে। আর এতে দৈনিক সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যাও ছয়গুণ বেড়ে গেছে।
অন্যদিকে গত মাসে আত্মপ্রকাশ করা ‘বার্ড’ নামের নিজস্ব এআই চ্যাটবট নিয়ে কাজ করার পরিকল্পনা করেছে গুগল। তবে অনানুষ্ঠানিক অভিষেকে বার্ড ভুল উত্তর দেখিয়েছে। এর ফলে গুগলকে বড় ধরনের লোকসানেও পড়তে হয়েছে। চ্যাটবটটি আনুষ্ঠানিকভাবে চালুর আগে এর বিভিন্ন জবাবের ধরন উন্নত করার লক্ষ্যে নিজস্ব কর্মীদের গুগল কাজে লাগিয়েছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।