ভারতে পাম অয়েল আমদানি চার বছরে সর্বোচ্চ

স্টাফ রিপোর্টার

ভারতে ২০২২-২৩ অর্থবছরে পাম অয়েলের আমদানি ১৬ শতাংশ বেড়ে প্রায় ৯২ লাখ টন হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, এটি হবে চার বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। গতকাল রয়টার্সকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে দেশটির একজন জ্যেষ্ঠ শিল্প কর্মকর্তা জানান, করোনা মহামারীর লকডাউনে খরচ সংকোচনের কারণে দুই বছর ধরে অনেকটা স্থবির ছিল পাম অয়েল আমদানি।

ভেজিটেবল অয়েল আমদানিতে শীর্ষ দেশ হিসেবে পরিচিত ভারত তার ভবিষ্যতের জন্য পাম অয়েল কিনছে। চার মাসে দেশটি সর্বোচ্চ পরিমাণে আমদানি করেছে। ইন্ডিয়ান ভেজিটেবল অয়েল প্রডিউসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শুধাকর দেশাই বলেন, ‘কভিড-১৯-এর কারণে টানা দুই বছর ধরে খরচ সংকোচন করতে হয়েছে। কিন্তু এ বছর বিধিনিষেধগুলো শিথিলের পাশাপাশি দাম কমে যাওয়ায় অন্তত ৫ শতাংশ আমদানি বাড়বে।’

তিনি আরো বলেন, ‘পাম অয়েলের সর্বোচ্চ আমদানির কারণে খরচ বাড়বে। বাজারে সয়াবিন ও সূর্যমুখী তেলের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ভোক্তারা যথেষ্ট ছাড়ে এটি কিনতে পারবে। পাশাপাশি লেনদেনও বাড়বে।’

বাণিজ্যসংশ্লিষ্টরা ধারণা করছেন, ভারতে ২০২২-২৩ অর্থবছরে পাম অয়েল আমদানি শুরু হয় গত ১ নভেম্বর। এ চার মাসে আমদানি হয়েছে প্রায় ৩৭ লাখ টন, যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় ৭৪ শতাংশ বেশি।

ভারত মূলত ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ড থেকে পাম অয়েল আমদানি করে। পাশাপাশি সয়াবিন ও সূর্যমুখী তেল আমদানি করে আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল ও ইউক্রেন থেকে।

শুধাকর দেশাই বলেন, ‘দেশটিতে এ বছর সব মিলিয়ে ভেজিটেবল অয়েল আমদানি বেড়ে ১ কোটি ৪৪ লাখ টন হতে পারে। গত বছর যার পরিমাণ ছিল ১ কোটি ৪০ লাখ টন। সয়াবিন তেলের আমদানি ৪০ লাখ থেকে নেমে এবার ৩১ লাখ টন হতে পারে। যেখানে সূর্যমুখী তেলের আমদানি ১৯ লাখ থেকে বেড়ে ২০ লাখ টনে পৌঁছবে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *