পাম অয়েল আমদানিতে কর বাড়াবে ভারত
ভেজিটেবল অয়েল আমদানিতে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ দেশ ভারত। সরিষাবীজের অধিক মূল্যের চাপ থেকে কৃষকদের বাঁচাতে পাম অয়েল আমদানি কর বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে দেশটি। সম্প্রতি দেশটির সরকার ও খাতসংশ্লিষ্টদের সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়, পাম অয়েল আমদানিতে কর বাড়ানোর ফলে স্থানীয় পর্যায়ের দাম কমবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। পাশাপাশি সয়াবিন ও সানফ্লাওয়ার অয়েলের সঙ্গে প্রতিযোগিতা কমাতে সাহায্য করবে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ভারত সরকারের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘সরিষাবীজের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য পাম অয়েল আমদানিতে করহার বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘নতুন মৌসুমে সরিষাবীজ সরবরাহের সময় বাজারমূল্যে প্রভাব বিস্তার করছে এবং তা মিনিমাম সাপোর্ট প্রাইসের (এমএসপি) নিচে নেমে গেছে।’ সরকার দেশে বীজের যে দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে তা বাজারে মানদণ্ড হিসেবেই অনুসরণ করা হয় বলেও জানান তিনি। পণ্যের দাম যখন এমএসপির নিচে চলে যায়, তখন সরকার কৃষকদের সহায়তার জন্য আমদানি কর বাড়ায়।
স্পট মার্কেটে বর্তমানে প্রতি ১০০ কেজি সরিষাবীজের দাম ৫ হাজার রুপি বা ৬১ দশমিক ২১ ডলারের কাছাকাছি। যেখানে সরকার নির্ধারিত দাম ৫ হাজার ৪৫০ রুপি। ভারতের কৃষকরা অক্টোবর ও নভেম্বরে শীতকালের প্রধান তেলবীজ সরিষাবীজ বপন করেন এবং মার্চে আবাদ শুরু হয়। বেশি দাম থাকলে কৃষকরা সরিষাবীজ চাষের জমি বাড়াতে উৎসাহিত হন।
২০২২ সালে অপরিশোধিত পাম অয়েলের ওপর থেকে মৌলিক আমদানি কর অপসারণ করা হয়। কিন্তু সিপিওর (ক্রুড পাম অয়েল বা অপরিশোধিত পাম অয়েল) জাহাজীকরণের ওপর সাড়ে ৫ শতাংশ করারোপ করে। এছাড়া দেশটির সরকার পরিশোধিত, ব্লিচড ও সুগন্ধিযুক্ত পাম অয়েল আমদানিতে সাড়ে ১২ শতাংশ করারোপ করেছে।
সরকারি সূত্র জানায়, বিশ্ববাজারে দাম কমায় ভারত সরকার কর বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে। সামগ্রিকভাবে খাদ্যদ্রব্যের মূল্যস্ফীতি সরকারের জন্য মূল চিন্তার বিষয় হলেও ভেজিটেবল অয়েলের দাম কমেছে। সরিষাবীজের নিম্নমূল্য ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য রাজস্থানের কৃষকদের ক্ষতি করেছে। সেই সঙ্গে সরকার রাজ্য নির্বাচনের আগে কৃষকদের রক্ষা করতে চায় বলে জানিয়েছে বাণিজ্য ও শিল্পসংশ্লিষ্টরা। ভারতের মোট সরিষাবীজ চাহিদার অর্ধেকের বেশি রাজস্থান সরবরাহ করে।