শুকনা মরিচ আমদানি বেড়েছে প্রায় ২ হাজার টন

স্টাফ রিপোর্টার

সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে শুকনা মরিচ আমদানি বেড়েছে। চলতি অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি পর্যন্ত সাত মাসে প্রায় দুই হাজার টন বেশি আমদানি হয়েছে মসলাপণ্যটি। এদিকে আমদানি বাড়ায় দেশীয় বাজারে শুকনা মরিচের দাম কিছুটা কমেছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

ভোমরা শুল্কস্টেশনের রাজস্ব বিভাগ থেকে জানা গেছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে এ বন্দর দিয়ে শুকনা মরিচ আমদানি হয়েছে ১৯ হাজার ২২০ টন। যার আমদানি মূল্য ৪৭৬ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। যেখান থেকে সরকারের রাজস্ব আয় হয়েছে ৪৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। অন্যদিকে গত অর্থবছরের একই সময় অর্থাৎ জুলাই-জানুয়ারি পর্যন্ত শুকনা মরিচ আমদানি হয়েছিল ১৭ হাজার ৩৯২ টন। যার আমদানি মূল্য ছিল ২৪৪ কোটি ৭২ লাখ টাকা, যা থেকে সরকারের রাজস্ব আয় হয়েছিল ২৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। সে হিসাবে চলতি অর্থবছরের সাত মাসে শুকনা মরিচ আমদানি বেড়েছে ১ হাজার ৮২৮ টন। পাশাপাশি রাজস্ব আয় বেড়েছে ২৩ কোটি ২ লাখ টাকা।

ভোমরা বন্দরে মসলাপণ্য আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স রাফসান এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. আবু হাসান জানান, তার প্রতিষ্ঠান উল্লেখযোগ্য পরিমাণে শুকনা মরিচ আমদানি করে। ২০২১-২২ অর্থবছরের তুলনায় চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে পণ্যটির আমদানি বেড়েছে ১৫ শতাংশ। সপ্তাহে ৩০-৩৫ ট্রাক শুকনা মরিচ আমদানি হচ্ছে তার প্রতিষ্ঠানে। আমদানীকৃত এসব মরিচ স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা হচ্ছে।

এদিকে সাতক্ষীরা জেলা শহরের বৃহৎ মসলা আড়ত সুলতানপুর বড় বাজারে গতকাল শুকনা মরিচ খুচরা বিক্রি হয়েছে ৩৯০-৪০০ টাকা কেজি দরে, যা এক মাসে আগে ছিল ৪৪০-৪৫০ টাকা। পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, বাজারে সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় শুকনা মরিচের দাম কমেছে।

ভোমরা শুল্কস্টেশনের দায়িত্বরত কাস্টমসের ডেপুটি সহকারী কমিশনার নেয়ামুল হাসান বলেন, ‘‌সম্প্রতি এ বন্দর দিয়ে শুকনা মরিচ আমদানি কিছুটা বেড়েছে। তাছাড়া আমদানীকৃত শুকনা মরিচে সরকারের রাজস্ব আয়ও বেশি হয়েছে গত অর্থবছরের তুলনায়।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *